• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মোংলায় শীতের শুরুতে লেপ-তোশক তৈরি শুরু


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ১২:৩০ পিএম
মোংলায় শীতের শুরুতে লেপ-তোশক তৈরি শুরু

বাতাসে এখন হিমের আভাস। দিনে গরম, রাতে একটু ঠান্ডা; আর ভোরে শীতল স্নিগ্ধ বাতাস। প্রকৃতিতে ছাতিম আর শিউলি ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। চিরচেনা এই গন্ধই প্রকৃতিকে জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এর সঙ্গে সঙ্গে বাগেরহাটের মোংলার লেপ-তোশক প্রস্তুতকারী ধুনকারদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। একইসঙ্গে গ্রামের বিভিন্ন পরিবারে পড়ে গেছে লেপ, কাঁথা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং রোদে শুকানোর ধুম। অনেক পরিবারের গৃহবধূরা আবার মজুরির বিনিময়ে কাঁথা তৈরি করে সংসারে বাড়তি উপার্জন করেন।

লেপ-তোশক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মালিক-শ্রমিক, ধুনকাররা লেপ-তোশক তৈরি ও সেলাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তারা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা লেপ-তোশকের দোকানে পছন্দমতো লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। 
ধুনকার, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, ভালো মুনাফা এবং বেশি বিক্রির আশায় এ সময়টাতে দিন-রাত পরিশ্রম করবেন তারা।  ক্রেতারাও লেপ-তোশক তৈরির জন্য ভিড় করছেন। শহরসহ উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোশক তৈরি ও বিক্রির কাজে ধুনকার, ব্যবসায়ী নিয়োজিত রয়েছেন।

মোংলা শহরের লেপ-তোশক দোকানের মালিক বশির তালুকদার জানান, সারা বছরের মধ্যে এ শীত মৌসুমেই তারা কাজের বেশি অর্ডার পান। ফলে এ সময় তাদের কাজ বেশি করতে হয়। এক মৌসুমের আয় দিয়েই তাদের পুরো বছর চলতে হয়।

ইসরাফিল মিয়া নামের শহরের অন্য এক দোকান মালিক জানান, কাপড়ের মান বুঝে লেপ-তোশকের দাম নির্ধারণ করা হয়। গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর লেপ-তোশকের দাম একটু বেশি পড়বে। কেননা এ বছর কাপড় ও তুলা বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

কারিগর সিদ্দিক মিয়া জানান, শীত শুরু হতে না হতেই তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। তারা ৪-৫ হাতের একটি লেপ ২ ঘণ্টায় তৈরি করে দিতে পারেন। লেপ-তোশকের দোকানের মালিকরা আরও জানান, শীত মৌসুমে প্রত্যেকটি দোকানে ২ শতাধিক লেপ তোশক ও জাজিম কেনা-বেচা হয়।

এদিকে শীত মৌসুম শুরুতেই মোংলার বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবারের গৃহবধূরা কাঁথা সেলাই শুরু করে দিয়েছেন। অনেক পরিবারই রয়েছে যারা কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ বা বাড়তি আয় করে থাকে।

মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মরিয়ম বেগম জানান, শহরের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কাছে কাঁথা সেলাই করে দেয়ার জন্য কাপড় সরবরাহ করেন। নকশা ভেদে এক একটি কাঁথা সেলাই করতে মজুরি বাবদ দেওয়া হয় ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। সাংসারিক ঝক্কিঝামেলা থাকলেও তার মতো অনেক গৃহবধূ কাজের ফাঁকে এভাবে প্রতি সিজনে ১০ থেকে ১৫টি কাঁথা সেলাই করে নগদ আয় করছেন।

Link copied!