প্রবাদ আছে, ‘যশোরের যশ খেজুরের রস’। দিন দিন কমে যাচ্ছে যশোরে শার্শা উপজেলাজুড়ে খেজুরগাছ। গ্রামীণ সড়কে এখন আর আগের মতো খেজুরগাছের সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। অন্যদিকে শিশুরাও জানে না শীতের সকালের মিষ্টি খেজুরের রসের স্বাদ।
শীতে খেজুরের রসের সঙ্গে গ্রামবাংলার প্রতিটি মানুষের সম্পর্ক বেশ পুরোনো ও নিবিড়। তবে নানা কারণে গাছের রসের স্বাদ ভুলতে বসেছেন মানুষ। বর্তমানে ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে খেজুরের গাছ ব্যবহার ও গাছি সংকটে তেমনভাবে আর রস সংগ্রহ করা হয় না। ফলে হারাতে বসেছে একসময়ের রস সংগ্রহের ঐতিহ্যও।
আগে রাস্তার ধারে খেজুরগাছ দেখা যেত। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে গ্রামের সেসব রাস্তায় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। ফলে খেজুরগাছ হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
গাছি মোহাম্মদ আলী বলেন, “বিভিন্ন অজুহাতে খেজুরের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নতুন করে আর কেউ গাছ লাগাচ্ছেন না। বর্তমানে যে হারে কেটে ফেলা হচ্ছে, তাতে একসময় হয়তো আমাদের এলাকায় খেজুরের গাছ আর দেখা যাবে না। তা ছাড়া এই কাজ পরিশ্রমের তুলনায় মজুরিও কম।”
বৃক্ষপ্রেমিক কলেজছাত্র সোহেল রানা মামুন বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে খেজুরগাছের ভূমিকা অপরিসীম। খেজুরগাছ সংরক্ষণ কারার জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা অতি জরুরি।
সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সাহীদুজ্জামান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে কষ্ট হবে গাছ থেকে রস পাওয়া যেত। সেই রস দিয়ে পায়েস বা গুড় বানানো হয়েছে। যশোরের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে খেজুরগাছ ও গাছিদের বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন।