• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, নারীসহ আটক ১৩


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম
জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, নারীসহ আটক ১৩

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে নারীসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কুলাউড়ার কর্মদা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টি উলি গ্রামের বাইশালী বাড়ি নামক এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ‘অপারেশন হিলসাইড’ নামের এই অভিযানে নারী-পুরুষসহ ১০ জঙ্গি ও তাদের সঙ্গে থাকা তিন শিশুকে আটক করা হয়েছে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, জঙ্গি প্রশিক্ষণ সামগ্রী ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন সাতক্ষীরা সদরের দক্ষিণ নলতা গ্রামের শরীফুল ইসলাম (৪০), কিশোরগঞ্জের ইটনার কানলা এলাকার হাফিজ উল্লাহ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রসুলপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম (২২), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার মাইজবাড়ী গ্রামের রাফিউল ইসলাম (২২), পাবনার আটঘরিয়া থানার শ্রীপুর গ্রামের শাপলা বেগম (২২), নাটোর সদরের চাঁদপুর গ্রামের মাইশা ইসলাম (২০), বগুড়ার শরিয়াকান্দি থানার নিজবলাই গ্রামের মোছা. সানজিদা খাতুন (১৮), সাতক্ষীরার তালা থানার দক্ষিণ নলতা গ্রামের আমিনা বেগম (৪০) এবং তার মেয়ে মোছা. হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০)।

এছাড়া ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে আটক করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা শিশুদের বয়স ১২ মাস, ১৮ মাস ও ৬ বছর।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) একটি চৌকস দলের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল ইউনিট সোয়াট ও জেলা পুলিশের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। তাদের সঙ্গে ছিল বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

অভিযান শেষে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন ব্যাপকসংখ্যক লোকদের উগ্রবাদের দীক্ষা দিচ্ছে। আমরা জানতে পারি, মৌলভীবাজারের যেকোনো একটি পাহাড়ে তারা তাদের আস্তানা তৈরি করেছে। গতকাল (শুক্রবার) আমরা চূড়ান্ত তথ্য পাই। ঢাকায় আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি, যিনি এই জঙ্গি আস্তানা থেকে তার পরিবারকে আনার জন্য গিয়েছিলেন।”

সিটিটিসি প্রধান আরও বলেন, “বিনা বল প্রয়োগে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের সঙ্গে তিন শিশুও ছিল।”

স্থানীয়রা জানান, তারা প্রায় দেড় মাস আগে ওই এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করেন। সেখানে প্রায় সময় বেশ কিছু লোকের আনাগোনা থাকত। তবে তারা কী কাজ করতেন সেটি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি এলাকাবাসী। তবে তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কথাবার্তা চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল।  

আটকদের ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Link copied!