• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘সাত দিন বয়সী মেয়েকে রেখে যুদ্ধে যাই’


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩, ১১:২১ এএম
‘সাত দিন বয়সী মেয়েকে রেখে যুদ্ধে যাই’

উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। সাত দিন বয়সী মেয়েকে রেখে পরিবারের কথা চিন্তা না করে যুদ্ধ চলে যাই। যুদ্ধ চলাকালীন অনেকবার অলৌকিকভাবে বেঁচে যাই। মনে শুধু একটাই বাসনা ছিল, আমার দেশকে মুক্ত করতে হবে—এভাবেই নিজের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া গল্প বলছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম।

দবিরুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দীনের ছেলে।

যুদ্ধে গিয়ে দেশ স্বাধীন করলেও মনে কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমার উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৭৩ জন। এটি এখন প্রতিবছর বাড়তে বাড়তে তিন ৩০০ জনে পার হয়েছে। আরও কয়েকজন তালিকায় রয়েছে। যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার লাইসেন্স করে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। মারা যাওয়ার পর তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হচ্ছে। এটি আমার কাছে অপমানজনক মনে হয়েছে। সে কারণে আমি জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি, মৃত্যুর পর আমাকে যাতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত না করা হয়।”

বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম আরও বলেন, “আমি সরকারর কাছে অনুরোধ করতে চাই, এ দেশে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে। তাদের বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীসহ আরও গোয়েন্দা সংস্থার জনবল দিয়ে তাদের তদন্ত করুন। তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা দেখা হোক। তবেই প্রকৃতপক্ষে যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা সম্মানিত বোধ করবেন।”

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, “এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে দাফন এটি রাষ্ট্রের নিয়ম। কী কারণে তিনি সেটি চান না, সে বিষয়ে আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলব।” 
 

Link copied!