• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নওগাঁয় আম পাড়া শুরু ২২ মে থেকে


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৩, ০৬:২০ পিএম
নওগাঁয় আম পাড়া শুরু  ২২ মে থেকে

চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে নওগাঁ জেলায় আম পাড়া যাবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ওই দিন থেকে কেবল গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত লক্ষ্যে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতসহ বিশেষ কারণে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আগে আম পাড়া যাবে।

রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২২ মে থেকে গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ২৮ মে ও ক্ষীরশাপাতি বা হিমসাগর ২ জুন থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া নাগ ফজলি ৭ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১০ জুন, ফজলি আম ২০ জুন ও আম্রপালি ২২ জুন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন চাষিরা। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে সংগ্রহ করা যাবে আশ্বিনা, বারী, -আম ৪, কাটিবাম ও গৌরমতি জাতের আম।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা ৫১০ হেক্টর, রানীনগরে ১৩০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫৩০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৩০ হেক্টর, পত্মীতলায় ৫ হাজার ৮১৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর, পোরশায় ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর, সাপাহারে ৯ হাজার ২৫৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ৩৮৫ দশমিক ৫ হেক্টর।

এছাড়া প্রতি হেক্টরে ১২ দশমিক ৬ টন হিসেবে জেলায় আম সংগ্রহের মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে এ জেলায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, “আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পরিপক্ব হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম সংগ্রহ করতে পারবেন। আম পাকানো ও বাজারজাতে কেমিক্যালের ব্যবহার ঠেকাতে আম নামানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আম সংগ্রহ করতে জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। ভোক্তারা যাতে পরিপক্ব ও ক্ষতিকারক কেমিক্যালমুক্ত আম পায় সেজন্য জাতভেদে আম সংগ্রহের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভোক্তাদের ভেজালমুক্ত আম খাওয়ানো নিশ্চিতের পাশাপাশি বিদেশে আম রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি কৃষি বিভাগ তৎপর রয়েছে। গত বছর জেলা থেকে ৭৮ টন আম মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এ বছর ৩০০ থেকে ৪০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

Link copied!