• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ভগ্নিপতির দেওয়া আগুনে শ্যালকের পর মারা গেলেন তার স্ত্রী


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০৭:২৬ পিএম
ভগ্নিপতির দেওয়া আগুনে শ্যালকের পর মারা গেলেন তার স্ত্রী

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভগ্নিপতির দেওয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া শ্যালকের মৃত্যুর ১৩ দিন পর মারা গেলেন তার স্ত্রী শারমিন আক্তার(২৫)।

বুধবার (১৪ জুন) ভোরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, ১ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শ্যালক আব্দুল কাদের (৩০)। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের একমাত্র কন্যা ফাতেমা খাতুন (৪)।

এর আগে, ২৭ মে রাতে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন (৩২) উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের শ্যালক আব্দুল কাদেরে ঘরে পেট্রোল ঢেলে দরজায় তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাদের গাজীর বোন সুফিয়া খাতুনের (২৬) সঙ্গে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেনর (৩২) পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এর জের ধরে গত ২৭ মে রাতে সবুজ চন্দনপুর গ্রামের হান্নান বিহারীর পুত্র সোহাগ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করেন। ওই রাতে সোহাগের সহযোগিতায় সবুজ তার শ্যালক কাদেরের ঘরের মধ্যে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যান। এতে আব্দুল কাদের, তার স্ত্রী শারমিন ও তাদের কন্যা ফাতেমা খাতুন ঝলসে যায়। পরে চিৎকারে স্থানীয়রা ঘরের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রী শারমিন মারা যান।

এ ঘটনায় পরদিন ২৮ মে আব্দুল কাদেরে বোন সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন।

চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ডালিম হোসেন বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভগ্নিপতি সবুজের দেওয়া আগুনে ১ জুন আব্দুল কাদের মারা যান। এরপর বুধবার ভোরে তার স্ত্রী শারমিনও মারা গেছেন।”

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামি সবুজ হোসেনকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

Link copied!