নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিশইল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এর মধ্যে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) আবু হেনা জীম এবং বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার প্রামানিককে অবরুদ্ধ করা হয়।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাদের অবরুদ্ধ রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হেনা জীম ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করলেও তিনি বিষয়টি আমলে না নিয়ে ধাপা চাপা দেন। কিছু দিন আগে ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু হেনা জীমকে নিয়ে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার প্রামানিক উঠে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে গালিগালাজ করে মারধরের হুমকি দেন। এরপর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের অবরুদ্ধ করেন এবং অভিযুক্ত এই দুই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আবু হেনা জীম বলেন, “ওই ছাত্রী সম্পর্কে আমার নাতনি হয় এবং আমার কাছে প্রাইভেট পড়ে। তাকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার প্রামাণিক বলেন, “আমার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয়। এলাকার কিছু ব্যক্তি আমার মানক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, “এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :