ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ চারজনের এখনো খোঁজ মেলেনি। তবে দগ্ধ চারজনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণের কাজ চলছে।
নিখোঁজ চারজন হলেন জাহাজের সুপারভাইজার চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান (৪৮), চালক চাঁদপুরের রুহুল আমিন (৫৫), কর্মী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সমুজদিপুর গ্রামের আবদুস সালাম ওরফে হৃদয় (২৬) ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের আকরাম হোসেন (৪০)।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসএইচআর নেভিগেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জাহাজে মজুত করা প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল থেকে প্রায় ৪ লাখ লিটার তেল অপর একটি জাহাজে অপসারণ করা হয়েছে। এ কাজে সহায়তা করছে কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দুটি জাহাজ।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, নদীতে যাতে তেল ছড়িয়ে জীববৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি না করতে পারে, সে জন্য অত্যাধুনিক তেল অপসারণকারী ল্যামোর সংযুক্ত বোট দিয়ে কাজ করছে কোস্টগার্ড।
জাহাজের বাবুর্চি মো. বেলায়েত হোসেন জানান, নিখোঁজ চারজনই ইঞ্জিন রুমের ওপর তলার কেবিন ও চালকের রুমে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে ইঞ্জিন রুম বিস্ফোরিত হলে কেবিনসহ ওপরের অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে নদীতে ছিটকে পড়ে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান চালানো হবে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
এর আগে শনিবার (১ জুলাই) বেলা দুইটার দিকে সুগন্ধা নদীতীরের সরকারি তেলের ডিপোর কাছে সাগর নন্দিনী-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এক সপ্তাহ আগে তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে এসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তেলের ডিপো-সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে। জাহাজটিতে প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল (পেট্রল ও ডিজেল) ছিল। এটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে খালাস করার অপেক্ষায় ছিল। ঈদুল আজহার ছুটিতে ডিপো বন্ধ থাকায় তেল খালাস করা সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :