বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করা সেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মারুফা খাতুন (২০) চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
মারুফা শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ পর ওই তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনজন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান স্বজনেরা। এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মারুফার বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ এ মামলায় সাইফুল ইসলাম নামের এক জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার বাকি দুই আসামি রঞ্জু ও নাঈম পলাতক রয়েছেন।
মারুফার চাচা কামরুজ্জামান জানান, মারুফার শারীরিক অবস্থা মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে রাতে মারুফা মারা যান।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মরদেহ বগুড়ায় আনার পর ময়নাতদন্ত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :