মেহেরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয় ঝড়ের তাণ্ডব। আধঘণ্টা পর ঝড়ের গতি কিছুটা কমলেও এর প্রভাব ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত।
ঝড়ের এই তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে আম-লিচুসহ বিভিন্ন গাছপালা। উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। এর পাশাপাশি উঠতি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামে বিভিন্ন জমির কলাখেত ঝড়ে মাটির সঙ্গে নুয়ে পড়েছে। গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের বিভিন্ন মাঠে উঠতি ধানের খেত নুয়ে পড়েছে। যা কয়েকদিন পরই কৃষকরা ঘরে তুলতেন।
ষোলটাকা গ্রামের ধান চাষি কামরুল বলেন, “মাঠে ধান তোলার সময় হয়ে গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে ধান কাটা হবে। কিন্তু ঝড়ে সব মাঠের ধান নুয়ে গেছে। এতে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না।”
এদিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একটি আম বাগানের মালিক উজ্জল হোসেন বলেন, জেলায় ১৫ মে থেকে আম-লিচু সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আম প্রায় পেকে গেছে। রাতের ঝড়ে বাগানের অর্ধেকের বেশি আম ঝরে পড়েছে। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে চাষিদের।
এদিকে ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন সড়কের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শাহাদুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মাঠপর্যায়ে জরিপ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঝড়ে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। দু-এক দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে।