• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়, নিরব প্রশাসন


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়, নিরব প্রশাসন

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চলছে ফসলি জমির মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা। জমির মালিকরা বেশি টাকার আশায় ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে। এতে কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমান, সেই সঙ্গে ঝুঁকিতে পরছে পার্শ্ববর্তী জমিও। তবে, এ নিয়ে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে জানা যায়, বোয়ালমারী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামে হাসেম শেখের ফসলি জমি থেকে ১৫/২০ দিন ধরে মাটি কেটে ইটভাটায় পাঠানো হচ্ছে। মাটি নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ট্রাক চলাচলের কারণে অন্যদের জমিও নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে মাটি কাটার কারণে পার্শ্ববর্তী জমিতে ফাটল দেখা দিচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, হাসেম শেখের ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাকে করে মাটি নেওয়ার কারণে পুকুর পাড়ের সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এতে সামনে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে পুকুরের পাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে জাহিদ সিকদারের ফসলি জমি থেকে প্রায় ২০দিন ধরে মাটি কাটা হচ্ছে। এই মাটিও বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী ট্রাকের কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট।

ময়না ইউনিয়নের খরসূতি মাদ্রাসার উত্তর পাশে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটতে দেখা যায়। এছাড়াও উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রাম, সাতৈর ইউনিয়নের ভোচনের মাঠ, রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্যোগের মাঠ, শেখর ইউনিয়নের বড়গাঁ বিলের ভেতরের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। তবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এভাবে মাটি কাটার পরও প্রশাসন কেন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, তা নিয়ে জনমনে চলছে নানা প্রশ্ন!  

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদেরও একটা ভূমিকা পালন করা উচিত।

 

Link copied!