• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

সম্ভাবনাময় ঝিনাইদহের সিটিগোল্ড গয়নাশিল্প


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
সম্ভাবনাময় ঝিনাইদহের সিটিগোল্ড গয়নাশিল্প

ভারতের একচেটিয়া বাজার টপকে দেশের অর্থনীতিতে নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে ঝিনাইদহের মহেশপুরের ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারি পণ্য। এক সময়ের শতভাগ আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে বর্তমানে এই শিল্পে দেশে যে ২০ শতাংশ ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারি তৈরি হচ্ছে তার অর্ধেকের জোগান আসছে ঝিনাইদহ থেকে। দেশীয় বাজারে ইমিটেশন গয়নার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বছরে ঝিনাইদহ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার গয়না। প্রতি মাসে এখানে ২০ লাখ জোড়া গয়না তৈরি করছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা। এলাকাটি এখন ইমিটেশন পল্লী হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।

এখানকার ৩ হাজারের বেশি পরিবারে কারিগরের সংখ্যা ৬ হাজারের বেশী, যার অর্ধেকই নারী। কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় ভারত সীমান্তবর্তী জেলাটিতে বদলে গেছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্রও।

ছোট ছোট দলে বসে ছাঁচে আর ডিজাইনে কেউ কেউ গলাচ্ছেন নানা ধাতব পদার্থ, কারো মনোযোগ নকশাতে, কারোবা হাতে চলছে গয়নার চূড়ান্ত ডিজাইন। কেউ আবার পুঁতি সাজাচ্ছে কোথাও বা চলছে স্বর্ণের সোনালি রঙের কাজ। কীভাবে একটি সাধারণ ধাতব অলংকার নানা আধুনিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে ইমিটেশন জুয়েলারিতে রূপ নিচ্ছে, সেটিও রপ্ত করেছে এই এলাকার বাসিন্দারা।

শিল্পের স্বীকৃতিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি, কারিগরী সহায়তা আর উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে নিজস্ব ডিজাইনের নিপুণ কারুকার্য খচিত এসব গয়না দেশীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানি সম্ভব।

দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, চীন ও ভারতের উন্নত ডিজাইন ও অলংকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকা কঠিন ছিল একসময়। এখন দিন পাল্টাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের এসইপি প্রকল্পের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ আর আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেকটাই বদলেছে ইমিটেশন জুয়েলারির উৎপাদনের ধরণ। আমদানি নির্ভর এই শিল্পের কাঁচামাল ও কেমিক্যাল সহজলভ্য করার দাবি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের।

ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারির একজন দক্ষ কারিগর গৃহবধূ সোনিয়া খাতুন। বাড়ি বসেই গয়না তৈরির কাজ করে মাসে ৮ হাজার টাকার বেশি আয় করেন তিনি। নিজে আয় করেন ফলে অর্থের প্রয়োজন হলে স্বামী-শ্বশুরালয়ে হাত পাততে হয় না। তবে তার পেছনের গল্পটি খুব একটা সহজ ছিল না। মহেশপুরের নওদাগ্রামে বিয়ের পর স্বামী মাসুম পারভেজের সংসারে এসে দেখেন স্বামী-শ্বশুরালয়ের অনেকেই গয়না তৈরির কাজ করছেন। তবে তাকে এসব কাজে উৎসাহ না দিয়ে বলা হতো ‘তুমি পারবে না, পারবে না’। ‘পারব না কেন’ এমন জেদ থেকেই সোনিয়া এখন স্বাবলম্বী আর দক্ষ কারিগর।

একই গ্রামের রেশমা বেগম তার বাড়িতে এমন গয়নার কাজ করছেন গত ৭ বছর ধরে। আগে সংসারের পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করতেন। তবে গয়না তৈরির কাজ শেখার পর এখন এটিই তার নিজস্ব ব্যবসা হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তার প্রতিদিনের আয় ৪০০ টাকা। একটি বেসরকারি সংগঠন থেকে পেয়েছেন প্রশিক্ষণ আর সহায়তা।

১৫ বছর ধরে স্বামী-সন্তানসহ ময়না খাতুনের পুরো পরিবার গয়না তৈরি ও কেনা-বেচার সঙ্গে যুক্ত। অনেক কারিগরও তাদের বাড়িতে গয়না তৈরির পেশাতে যুক্ত।

এমন গল্প শুধু সোনিয়া, রেশমা বা ময়না খাতুনের নয়, মহেশপুরের ৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার হাজার হাজার নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প। প্রশিক্ষণ আর সহায়ক কর্মপরিবেশে কেউ হয়েছেন দক্ষ কারিগর, কেউ বা উদ্যোমী উদ্যোক্তা আবার কেউ  ঝানু ব্যবসায়ী। এ যেন রূপকথার এক ইমিটেশন পল্লীর গল্প।

ইমিটেশন পল্লীর ইমরান সিটি গোল্ডের কারখানা মালিক ও ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, অসংখ্য বেকার তরুণ, শিক্ষিত যুবক আর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে ইমিটেশন বা সিটিগোল্ডের কারখানায় কাজ করে বাড়তি উপার্জন করছে। কেউ সংসারে সহায়তা করছেন, কেউ পুরো সংসার চালাচ্ছেন এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে।

তিনি জানান, মহেশপুর উপজেলার আজমপুর, মান্দারবাড়িয়া ও নাটিমা এই ৩ ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম ও পৌরসভাজুড়ে ইমিটেশন পল্লীর বিস্তৃতি।

বাংলাদেশে একটা সময় ছিল যখন নারীদের গয়না বলতে মূলত সোনা বা রুপার অলংকারই বোঝানো হতো। সোন-রুপার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে চাহিদা বাড়তে থাকে ইমিটেশন বা প্লেটিং করা গয়নার।

আরোহী সিটি গোল্ড হাউজের কারখানা মালিক সামাদ হোসেন জানান, আগে দেশের সর্বত্র ইমিটেশনের যে গয়না পাওয়া যেত তার বেশিরভাগই ঢাকার সাভারের ভাকুর্তা ও বগুড়ার কারিগরদের হাতে তৈরি। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহের মহেশপুরের ইমিটেশন পল্লী দাঁড়িয়ে গেছে শক্ত অবস্থানে। কয়েক বছরের ব্যবধানে দেশে উৎপাদিত ৫০ শতাংশের বেশি ইমিটেশন জুয়েলারি এখন এই জেলাতেই তৈরি হয়। বিশেষ করে দুলের জন্য ঝিনাইদহের ইমিটেশন পল্লী বিখ্যাত দেশজুড়ে।

ঢাকা, রাজশাহী, নাটোর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সিলেট, হবিগঞ্জসহ সারা দেশে এখানকার ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারি পণ্য যায় বলে জানান ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা।

আল-আমিন সিটি গোল্ডের মালিক আমিনুর রহমান জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাইকার ব্যবসায়ী মহেশপুরে আসেন সিটি গোল্ড বা ইমিটেশন জুয়েলারি কিনতে, আবার ফোনে বা অনলাইনে অর্ডার দিলেও তা পৌঁছে দেওয়া হয় সেসব প্রতিষ্ঠানে। তার কারখানায় ৪ জন শ্রমিক রয়েছেন, যাদের বেতন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা।

ইত্যাদি স্টোর শোরুমের ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের উঁচু তালার মানুষ এই ইমিটেশন গয়না ব্যবহার করেন। ইমিটেশন গয়না এতোদিন প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় কোম্পানিগুলোর দখলে ছিল। এখন ভারতের বাজার কমে যাওয়ায় তারা কৌশল বদলে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আর অটোমেশনে ইমিটেশন গয়না তৈরি করে বাংলাদেশের বাজার দখলের চেষ্টা করছেন। খুব অল্প সময়ে বেশি আইটেমের গয়না তৈরি করে মার্কেটে দিচ্ছেন।

ভারতের অটোমেশন বা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির তৈরি গয়না দেশের বাজারে এলেও, বাজার খুব একটা দখল করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মহেশপুর ইমিটেশন পল্লীর যশোর কালার হাউজের মালিক উদ্যোক্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, তারা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করে পর্যায়ক্রমে বাজারে নিজেদের তৈরি দেশীয় ইমিটেশনের গয়না ছাড়ার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অনেকটাই কোণঠাসা। কারণ ভারতের একটি কানের দুল দেশে বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। সেখানে নিজেদের তৈরি একটি কানের দুল, গয়না মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া রং চটে গেলেও পরিবর্তন করে নতুন গয়না দেওয়া হয়।

সেখানকার ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, তামা, পিতল, ব্রোঞ্জ এই শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল, যার সবই আমদানি নির্ভর। তবে বর্তমানে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প থেকে আসছে তামা, পিতল-ব্রোঞ্জসহ ইমিটেশন জুয়েলারি তৈরির কিছু কাঁচামাল। ফলে এই শিল্পের বাজারে আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমদানি নির্ভর এই শিল্পের কাঁচামাল ও কেমিক্যাল সহজলভ্য করার দাবি ব্যবসায়ীদের।

এদিকে এসব পণ্য দেশের নানাপ্রান্তে পৌঁছানো এবং বিক্রির সময় ট্রেনে, বাসে, মার্কেটে, হাটে-বাজারে প্রায়শই পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীদের অনেকে। ফরিদপুরের ওয়াপদাহ শহর এলাকা, দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ফেরীঘাট, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ইমিটেশনের এসব পণ্য আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। মেমো, ট্রেডলাইসেন্সসহ কাগজপত্র দেখালেও ছাড়তে চায় না, চোরাই বা গোল্ডের ব্যবসায়ীসহ নানা জালে হয়রানি হতে হয়। শিল্পের স্বীকৃতি না থাকায় সম্ভাবনাময় এই শিল্পের পণ্য মার্কেটে কেনা-বেঁচায় বড় ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় বলে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যবসায়ীদের।

আমদানি নির্ভর এই ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রশিক্ষণ না থাকায় ইমিটেশনের ছোট গয়না বা মালামাল তৈরি করে টিকতে পারছিলেন না এখানকার কারিগররা, ছিল আর্থিক সংকটও। তবে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ, ঋণ সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতায় এ সেক্টর হয়েছে অনেকটাই পরিণত। বেড়েছে গুণগতমান, সম্প্রসারিত হয়েছে দেশের বাজারও। যশোরের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শিশু নিলয় ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিবর্তন দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে বলে জানান যশোর শিশু নিলয় ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাসিমা সুলতানা।

বেসরকারি এই সংগঠনটির ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারি প্রজেক্টের ম্যানেজার ইমদাদুল ইসলাম জানান, আগে এসব গয়নার শত ভাগই ছিল আমদানি নির্ভর। চীন আর ভারতের দখলে ছিল বাজার। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি বদলে চাহিদার ২০ শতাংশ বাজার দখল করতে পেরেছে দেশীয় কারিগর ও কারখানাগুলো। এর ১০ শতাংশ তৈরি হচ্ছে সাভারের ভাকুর্তা ও বগুড়া জেলাতে। বাকী ১০ শতাংশ ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারি তৈরি হচ্ছে ঝিনাইদহের মহেশপুরে। বছরে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ইমিটেশন জুয়েলারি পণ্য উৎপাদনসহ হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে ঝিনাইদহের মহেশপুরের ইমিটেশন জুয়েলারি পল্লী থেকে।

এই কর্মকর্তা জানান, আগে ছোট সাইজের গয়না তৈরি হলেও বর্তমানে মহেশপুরে ইমিটেশন জুয়েলারি গয়নায় এসেছে গুণগত পরিবর্তন। বড় সাইজের চিক, কণ্ঠচিক, সীতাহার, লকেট, চুড়ি, আংটি, মানতাশা, কানের দুল, ঝাপটা, ঝুমকা, চেইন, ব্রেসলেট, আংটিসহ উন্নত ডিজাইনের গয়না তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে এখানকার কানের দুল সারা দেশে বিখ্যাত।

২০০৪ সালের দিকে দেশের সীমান্তবর্তী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় একেবারে নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে ওঠে সিটি গোল্ড নামের ইমিটেশন জুয়েলারি কারখানা। এখন হাজার হাজার মানুষ ব্যক্তি উদ্যোগে ঘরে বসেই এই ইমিটেশন গয়না তৈরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। বদলে গেছে সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনযাত্রাও।

মহেশপুরের ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, দেশে ইমিটেশন জুয়েলারির হাজার হাজার কোটি টাকার একচেটিয়া বাজার এখনো ভারত-চীনের দখলে। তবে ভারতের বাজার কমলেও চীনের বাজার এখনো জমজমাট।

সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশীয় বাজারে নিজেদের গয়নার চাহিদা বাড়ছে তবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাজারও এখনো দখল করা সম্ভব হয়নি। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকতে শিল্পের স্বীকৃতি, শিল্পের সুযোগ-সুবিধা, বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ, অটোমেশনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনতে সরকারি সহায়তা আর কারিগরদের সরকারি-বেসরকারি নানা প্রশিক্ষণ, আমদানি নির্ভর কাঁচামালের সহজলভ্যতার সুযোগ করে দিলে ভারত-চীনের বাজার দখল করা অসম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

এদিকে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাংক লোন, প্রশিক্ষণসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এমনকি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে কর্মসংস্থানসহ ইমিটেশন জুয়েলারি গয়না বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের চেষ্টা করা হবে বলে জানান ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম।

Link copied!