নিখোঁজের ছয় দিন পর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে শিশু মোছা. রদিয়া আকতার রুহির মরদেহ।
শুক্রবার (৩০ মে) রাত ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎমাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
রদিয়া আকতার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হেমাইল গ্রামের আবদুর রহমানের মেয়ে।
আটকরা হলেন নিহত রদিয়ার সৎমা সোনিয়া খাতুন, সৎমায়ের বাবা মো. জিয়া ও রদিয়ার চাচা মো. রনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রদিয়ার মা আরজিনা খাতুনের সঙ্গে তার বাবা আবদুর রহমানের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। সে মায়ের সঙ্গে একই গ্রামে নানার বাড়িতে থাকত। রদিয়ার বাবা পরে আবার বিয়ে করেন। রদিয়া নানার বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যেত। গত ২৪ মে বেলা ১১টার দিকে বাবার বাড়িতে দাদিকে দেখতে যায়। এরপর সে আর নানার বাড়িতে ফিরেনি। পরের দিন রদিয়ার বাবা কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রদিয়ার বাবা ও দাদার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, রদিয়ার মা ও নানার বাড়ির লোকজন তাকে গুম করেছে।
শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই আবদুর রহমানের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। শিশুটির স্বজন ও গ্রামবাসী সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা তুলে ভেতরে একটি বস্তা দেখতে পেয়ে থানার পুলিশকে খবর দেন। রাত ১১টার দিকে বস্তাবন্দী অবস্থায় নিখোঁজ শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রদিয়ার মা আরজিনা খাতুন বলেন, “ওরা আমার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। মরদেহ গুম করতে বস্তাবন্দী করে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পাপকাজ পাহাড়ে ঢাকা থাকে না। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।”
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, নিখোঁজ শিশুটিকে হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দী করে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর রাখা হয়েছিল। পুলিশ জিডির সূত্র ধরে তথ্য উদ্ঘাটন করেছে। শিশুটিকে তিন-চার দিন আগে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি গুম করতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।