• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সীমান্তে সংঘর্ষ, বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় শতাধিক মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী


বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
সীমান্তে সংঘর্ষ, বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় শতাধিক মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী

সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাইনছড়ি সীমান্তে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এদিকে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সেক্টর-২ এর শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। তারা উপজেলার জামছড়ি সীমান্তে জড় হয়েছে বলে জানালেন সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন।

গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৯ জন জান্তা সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সাত দিন ধরে তারা এখানে রয়েছেন।

সীমান্তের আশারতলী গ্রামের ছৈয়দ হোসেন, আবদুস সালাম, মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, জামছড়ির ওপারে কাঁটাতার ঘেঁষে জান্তা সরকারের শতাধিক সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার অপেক্ষায় আছে। রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে তারা সীমান্তের সামান্য ভেতরে ঢুকে গেছে।

জানা গেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি, চাকঢালা, আশারতলি, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।

এদিকে সেক্টর-২-এর আরও শতাধিক সদস্য জামছড়ি জারুলিয়াছড়ি নুরুল আলম কোম্পানির লেবু বাগানের পাশে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন। এখানে মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য জড়ো হয়েছেন। আজকালের মধ্যে সীমান্তের জিরো লাইনে তারা আশ্রয় নিতে পারেন বলে ধারণা করছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Link copied!