• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কোরবানির আগেও দা-ছুরির ব্যবসায় ভাটা


দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ০৪:১৪ পিএম
কোরবানির আগেও দা-ছুরির ব্যবসায় ভাটা

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। উৎসবটি ঘিরে পশু ব্যবসায়ী, খামারি থেকে শুরু করে ব্যস্ততা বেড়েছে কামার পল্লিতে। করোনাকালীন লোকসান গোছাতে দিন-রাত কাজ করছেন কামাররা। তবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে অনেকেই পুরোনোগুলো ধার-সান দিয়ে ঠিক করছেন, নতুনটা কিনছেন না। তাই এবারও লাভ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কামাররা।

রোববার (২৫ জুন) দুপুরে দেখা যায়, দিনাজপুর শহরের মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তার পাশে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দা, বটি, চাপাতি, কাস্তে, চাকুসহ বিভিন্ন লোহার জিনিসপত্র।

কামাররা জানান, গত বছর কাঁচামাল হিসেবে লোহার দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এ বছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টায়। অপর দিকে কামারদের তৈরি দা-চাপাতি গত বছর বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। একইভাবে গত বছর ছুরি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। আর এ বছর বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। বটি গত বছর ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।

নিরঞ্জন নামের এক কামার বলেন, “এখনো বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। কাল (সোমবার) থেকে শুরু হতে পারে। তবে এখন আর আগের মতো ব্যবসা নেই। লোহার দাম ও শ্রমিকদের মজুরি বাড়ার কারণে জিনিসপত্রেরও দাম বেড়েছে। তাই মানুষ এখন নতুন জিনিস কেনেন না। অধিকাংশ ক্রেতাই পুরোনো দা-বটি ঠিক করতে আসেন।”  

লিটন নামের এক কামার বলেন, “করোনার সময় অনেকেই কোরবানি দেননি। তাই আমাদেরও ব্যবসা হয়নি। এ বছর আশা করেছিলাম ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু কারেন্টের যে সমস্যা, আর লোহার যে দাম। মানুষ এবারও তেমন দা-বটি কিনছেন না।”  

সুশীল নামের এক কামার বলেন, “এখন তো আগের মতো হাতে টানা মেশিন ব্যবহার হয় না। জিনিসপত্র ধার করি কারেন্টের মেশিন দিয়ে। তাই খরচ বেড়েছে।”

সিরাজ মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি। তবুও কিছু করার নেই কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়াতে হবে। তাই দাম বেশি দিয়েই নিতে হচ্ছে।”  

Link copied!