মাগুরায় শিশু আছিয়া হত্যা ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই ছেলে ও স্ত্রীকে খালাস ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এ রায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না আছিয়ার পরিবার। তার মা আয়েশা বেগম জানান, তিন আসামি খালাসে নতুন আশঙ্কায় আছেন তিনি।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আছিয়ার মা বলেন, তারা কিভাবে ছাড়া পেলো। হিটু শেখের দুই ছেলে রাতুল শেখ ও সজিব শেখ ছাড়া পেয়ে কি যে করবে আমার তো সেই ভয়ই লাগছে। আমি বাসায় সারাদিন একা থাকি, তারা তো আমার ক্ষতিও করতে পারে। আবার আমার বড় মেয়ে হামিদারও ক্ষতি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারা তো খারাপ মানুষ। এমনও হতে পারে আমার ক্ষতি করলো না কিন্তু অন্যদের করলো। অন্য কারো জীবন নষ্ট করলো। তখন কি হবে। আমি চাই, ওরাও দোষী, ওদেরও শাস্তি হোক। আমি হাইকোর্টে যাব।
আছিয়ার অন্যান্য স্বজন ও প্রতিবেশিরাও এই রায়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, বাকি তিনজনেরো শাস্তি দেয়া উচিত। ফাসি না হোক যাবজ্জীবন হলেও হোক। এমন জঘন্য কাজে যারা সাহায্য করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে হয়তো অন্যরাও ভয় পাবে।
আলোচিত এই মামলায় আসামি ছিলেন, শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগম।
আদালত মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা- বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে (বোনের শ্বশুর) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং সন্তান সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে খালাস দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো।