• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি নেতার দাওয়াতে আ.লীগ নেতারা


মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম
বিএনপি নেতার দাওয়াতে আ.লীগ নেতারা
বিএনপি নেতার বাড়িতে দাওয়াত গ্রহণ করলেন আ.লীগ নেতারা

দেশব্যাপী চলছে নির্বাচনী আমেজ। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও প্রায় ২৭টির মতো দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে দেশের প্রধান দুটি দল যেখানে দুমুখীভাবে রয়েছে, সেখানে বাগেরহাটের মোংলায় এক বিএনপি নেতার নাতনির বিয়েতে দাওয়াত গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এতে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কৌশল মনে করছেন, কেউ আবার বলছেন সামাজিক বন্ধন।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরের মোংলা শহর পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হকের বড় ছেলে মো. আলমগীর হকের মেয়ে সালমা তাবাসসুম সুপ্তির বিয়ে হয় ব্যবসায়ী মো. হারুন-অর রসিদের বড় ছেলে মো. রফিকুল হাসান হৃদয়ের।

সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, মোংলা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, থানা যুবলীগের সভাপতি ও মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল হাওলাদার, পৌর যুবলীগের সভাপতি ও এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কবির হোসেন এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলামসহ অনেকে ।

স্থানীয়রা জানান, এবারের জাতীয় নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে মোট ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন হানার (নৌকা) এবং অপর হেভিওয়েট নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল) মাঝে। তাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে নির্বাচনী উদ্দেশ্য হাসিলের বিষয় থাকতে পারে।

তবে এসব আলোচলা-সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন দুই পক্ষ। তারা বিষয়টিকে সামাজিক বন্ধন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. কবির হোসেন বলেন, “আমাকে বরপক্ষ থেকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে তাই সেখানে গিয়েছি। এছাড়া বর আমার ছেলের বন্ধু।”

পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, এটা কোনো রাজনৈতিক ব্যাপার না। সামাজিক রীতি হিসেবে তারা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছেন।

সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে শরিফুল বলেন, “পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হক একজন প্রবীন মানুষ। রাজনীতির বাইরে তাদের দুজনের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। এটাকে ভিন্ন চোখে দেখার সুযোগ নেই।”

অপরদিকে পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হকের বরাত দিয়ে পৌর বিএনপির সহসভাপতি এমরান হোসেন বলেন, “প্রবীন নেতা হিসেবে সিটি মেয়র তালুকদার সাহেবের সঙ্গে তোফাজ্জেল হকের একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে তাকে দাওয়াত দিয়েছেন এবং দাওয়াতের প্রতি সন্মান দেখিয়েছেন সিটি মেয়র। এখানে ভোটের কোনো রাজনীতি নেই।”

Link copied!