• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

একে একে ৩ বিয়ের পর পড়াশোনায় মন দিলেন শ্যামলী, এবার বিদায় নিতে হলো চিরতরে


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ১২:১২ পিএম
একে একে ৩ বিয়ের পর পড়াশোনায় মন দিলেন শ্যামলী, এবার বিদায় নিতে হলো চিরতরে
শ্যামলী খাতুন

নাটোরের বড়াইগ্রামে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শ্যামলী খাতুনকে (৩০) ঢাকার কমলাপুরে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামী সুজনের (৪০) বিরুদ্ধে। নিহতের পরিবার দাবি করেছে, সুজন দীর্ঘদিন ধরে শ্যামলীকে ব্ল্যাকমেল করছিল। শ্যামলী বড়াইগ্রাম উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। এ ঘটনায় শ্যামলীর ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা করেছেন।

শ্যামলীর মা মঞ্জুয়ারা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘আমার দুই সন্তানের মধ্যে শ্যামলী ছোট। ১২ বছর আগে সে প্রথমে প্রেম করে বিয়ে করেছিল, একটি ৮ বছরের মেয়ে রয়েছে। কিন্তু চাকরির সুবাদে সুজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে সুজনকে বিয়ে করে। পরে জানতে পারে সুজনের আগের স্ত্রী ও সন্তান আছে। তখন তাকেও তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে আসে।’

মঞ্জুয়ারা জানান, তালাকের পর থেকে সুজন তার মেয়েকে ব্ল্যাকমেল শুরু করে। পরে উপজেলার রাজাপুরে পারিবারিকভাবে তৃতীয় বিয়ে হয় শ্যামলী খাতুনের। বিয়ের পর সুজন অন্তরঙ্গ ছবি শ্যামলী খাতুনের স্বামীর ফোনে পাঠায় এবং বাড়ির সামনে পোস্টরিং করে। এগুলো দেখে শ্যামলী খাতুনের সেই স্বামীও তাকে তালাক দেয়। সবকিছু বাদ দিয়ে আবার পড়াশোনা শুরু করেছিল শ্যামলী। এইচএসসি শেষ করে ঢাকায় চাকরি নিয়েছিল। কিন্তু আবার কৌশলে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করল সুজন।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘এক বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছি, এখন মেয়েকেও হারালাম। ৮ বছরের নাতনি বারবার মা-মা বলে কান্না করছে। কী জবাব দেব ওকে?’


মামলার বাদী শ্যামলীর ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার আর কোনো ভাইবোন নেই। ছোটবেলা থেকে কোলে-পিঠে মানুষ করেছি। আজ বোনের হত্যার মামলা করতে হলো। আমি দ্রুত বিচার শেষে ঘাতক সুজনের ফাঁসি চাই।’

গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে শ্যামলীকে হত্যা করা হয়।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!