• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দুদকের মামলা: ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম
দুদকের মামলা: ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানের নাম মিজানুর রহমান মোল্লা ওরফে সোনা মিয়া। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

বুধবার (২১ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন ওই চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গত ১৫ জুন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বোয়ালমারী উপজেলাধীন রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে, যা বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন। উক্ত মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ওই চেয়ারম্যানের সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এ বিষয়ে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, “আমি বরখাস্তের কোনো কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলা চলমান। কিন্তু ওই মামলার রায় হয়নি। রায় প্রদানের আগেই আমাকে বরখাস্ত করা হলে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।”

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, সাময়িক বরখাস্তের চিঠি বুধবার (২১ জুন) হাতে পেয়েছে। তাকে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই মামলার চার্জশিট ২০২৩ সালে আদালতে দাখিল করা হয়। অতঃপর চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

Link copied!