• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মিয়ানমারে গোলাগুলি, আতঙ্কে সীমান্তে ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
মিয়ানমারে গোলাগুলি, আতঙ্কে সীমান্তে ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
বাংলাদেশ সীমান্ত। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় এই সংঘর্ষ এখনো চলমান। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকার মানুষ মর্টার শেল এবং গোলাগুলির আওয়াজে আতঙ্কিত।

এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকার ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাদ্রাসা রয়েছে।

তথ্যটি নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, “সীমান্তের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিশকাতুন্নবী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একেবারেই সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় এগুলো বন্ধ করা হয়েছে।”

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপ্তি চাকমা বলেন, “কক্সবাজার সীমান্তের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।”

ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু হেডম্যান পাড়া চাকমাপল্লীর প্রধান কানন চাকমা বলেন, “মিয়ানমারের সংঘর্ষে গোলাগুলির কারণে আমরা খুবই ভয়ে আছি। আমার পল্লীতে ২৭টি পরিবারের বসবাস। সবাই এখন ভয়ে আছেন।”

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, “ওপারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের কারণে এপারে গুলির আওয়াজে স্থানীয়দের কিছু সমস্যা হচ্ছে। এগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্টরা তৎপর রয়েছে, যাতে আমাদের এপাশে কোনো সমস্যা না হয়।”

Link copied!