রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকের পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। পানির ওপর নির্ভরশীল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে দৈনিক মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রুলকার্ভ অনুযায়ী বছরের এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৭ দশমিক ৮০ ফুট এমএসএল। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি আছে ৭৬ ফুট এমএসএল। যেখানে ১১ দশমিক ৮ এমএসএল পানি কম রয়েছে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। পানি যদি ৬৬ এমএসএলের নিচে নেমে যায়, তবে তাকে বিপদসীমা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, এই কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সচল থাকলেও পানির অভাবে ৪টি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। শুধু মাত্র ১ নম্বর ইউনিট থেকে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে না বলে প্রকৌশলীরা জানান।
পানির ওপর নির্ভরশীল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রর ৫টি ইউনিট দিয়ে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তবে শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই লেকে তীব্র পানির সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নৌ চলাচলও বিঘ্ন ঘটে।
 
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




































