উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এ নিয়ে এ বছর পঞ্চম দফায় বাড়লো যমুনার পানি। এতে নতুন করে আবারও তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের অনেক গ্রামের রাস্তাঘাট। দেখা দিয়েছে নদীর পাড়ে ভাঙন।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৪০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে চৌহালীর চরাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। আর ভাঙন দেখা দিয়েছে চৌহালী ও এনায়েতপুরের দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পাড়ে। বহু ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার সংবাদ প্রকাশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যে কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে অসময়েই যমুনার পানি বাড়ছে। চারদিন ধরে যমুনার পানি বাড়ছে। আরও কয়েকদিন পানি বাড়বে। ফলে বিপৎসীমার কাছাকাছি যাবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত জুনের শুরুতে প্রথম দফায় যমুনায় পানি বাড়তে থাকে। ১৮ জুন জেলার সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করে এ নদীর পানি। ২৩ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় ২৯ জুন থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। এরপর ৩ জুলাই থেকে পানি কমতে থাকে। ২৩ জুলাই তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি ও ৬ আগস্ট থেকে কমা শুরু। টানা ২৫ দিন পর ৩১ আগস্ট হঠাৎ করেই যমুনার পানি বাড়া শুরু হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর পানি কমতে থাকে। দুই সপ্তাহ পর ২৬ সেপ্টেম্বর চতুর্থ দফায় পানি বাড়া শুরু হয়েছে। পঞ্চম দফায় গত ১০ অক্টোবর থেকে পানি বাড়া শুরু হয়েছে।




































