• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফোনে বিয়ে, দ. আফ্রিকা গিয়ে স্বামীর হাতে খুন


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২২, ১০:০১ এএম
ফোনে বিয়ে, দ. আফ্রিকা গিয়ে স্বামীর হাতে খুন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের শান্তা ইসলাম (২২) নামের এক গৃহবধূকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে।

রোববার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শান্তা ইসলাম উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের ছালাম শিকদারের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোকা মাস্টারের ছেলে সুমন মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে শান্তা ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পরেই নববধূকে দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে যান তিনি। এর কয়েক দিন পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।

সুমন শান্তাকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা আনতে বলেন। একপর্যায়ে শান্তাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন তিনি। বিষয়টি জানার পর সুমনকে কয়েক দফায় ৭ লাখ টাকা দেন শান্তার বাবা ছালাম শিকদার।

রোববার বিকেলে মেয়েকে একাধিকবার কল দেন বাবা ছালাম শিকদার। কিন্তু দীর্ঘ সময় তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ছালাম শিকদার আফ্রিকায় বসবাসরত তার আত্মীয়দের বিষয়টি জানান।

খবর পেয়ে রাতেই কয়েকজন আত্মীয় সুমনের বাসায় যান। ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ তালা ভেঙে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ও পেটে ১৪টি চাকুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রউফ মিয়া বলেন, “সুমন ব্যবসা বড় করার জন্য শান্তাকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছালাম শিকদার লোন নিয়ে কয়েক দফায় সুমনকে ৭ লাখ টাকা দেন। রোববার শান্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামী বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার শান্তার মরদেহ দেশে আসতে পারে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!