কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ ও প্রাসাঙ্গিক বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(২৭ আগষ্ট) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এ ছাড়াও পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সরকার দলীয় নেতা, সাংবাদিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কয়েকটি জায়গা প্রস্তাবের পক্ষে মতামত চাওয়া হলে শেষ পর্যন্ত তিনটি জায়গার নাম আসে। এরমধ্যে নালিয়ার দোলা, দাসের হাটের ছড়া ও টগরাইহাট।
নালিয়ার দোলায় কৃড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চাষী করিমসহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে দাসের হাটের ছড়ায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ হাসান লোবান, কুড়িগ্রাম আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ নুর বখত।
এছাড়া টগরাইহাটে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে বক্তব্য দেন ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ আলী।
এ সময় বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, “জায়গা নির্ধারনের পাশাপাশি অস্থায়ী ক্যাম্পাস ভাড়া নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হোক।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কৃড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রস্তাবনার এ তিনটি জায়গার নাম সংশ্লিষ্ট কমিটির নিকট তুলে ধরা হবে।
সকলের মতামত শোনার পর কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন নতুন এ কৃষি বিশ্ববিদ্যালকে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন বলেন,“কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। কুড়িগ্রামের উন্নয়নের মেডিকেল কলেজ চাওয়া হলে তিনি সেটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে যে জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করলে ভালো হবে সেই স্থানের সম্ভবনা যাচাই করে সেখানে স্থানের কথা জানান। পাশাপাশি স্থায়ী ভিত্তিতে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালু করতে হবে।”
মতবিনিময় সভার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ জেলার মানুষের মাঝে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।





































