উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা ও নদ-নদী বেষ্টিত কুড়িগ্রামে ৫ বছরে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বেড়েছে জনসংখ্যার ঘনত্ব। ২ হাজার ২৪৫.০৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এ জেলাটিতে ২০১১ সালের আদমশুমারির জরিপে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে ৯২২ জন মানুষ বসবাস করলেও বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করছেন ১০৩৭ জন।
২০২২ সালের নতুন জনশুমারি ও গৃহগননার হিসেবে জেলায় বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ ২৯ হাজার ১৬১ জন, যা ২০১১ সালে ছিলো ২০ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৩ জন।
নতুন জনশুমারিতে এ জেলায় পুরুষের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৫ হাজার ২২২ জন, নারী ১১ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৮ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ৯১ জন। বাস গৃহের সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ৯১১টি ও খানার সংখ্যা ৬ লাখ ৫ হাজার ৭২৪টি। কুড়িগ্রামে এছাড়াও শহরের তুলনায় গ্রামে বেড়েছে বসতির সংখ্যাও।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সূত্র জানায়, ৯ উপজেলার এ জেলাটিতে শহরের তুলনায় গ্রামের বসতির সংখ্যা বেশি। শহরে ৫ লাখ ৫ হাজার ৮২৭ জন ও গ্রামে ১৮ লাখ ২২ হাজার ১৭৪ জন মানুষ বসবাস করছেন।
বর্তমানে এ জেলায় নতুন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসতিও দেখা গেছে। ২৭৫ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ এখানে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩৬ জন ও নারী ১৩৯ জন। কুড়িগ্রামে ইসলাম ধর্মের ৯৩.৭৯, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৬.১৪, খ্রিস্টান ধর্ম ০.০১ এবং অন্যান্য ধর্মের ০.০৭ শতাংশ অনুসারী বসবাস করছেন।
এছাড়াও জেলাটিতে বেড়েছে স্বাক্ষরতার হার। ২০১১ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিলো ৫৬ শতাংশ। বর্তমানে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৯৯ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৬৮.১৯, নারী ৬১.৯৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ৪৭.১৯।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সদর উপজেলার পরিসংখ্যান তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জনশুমারি ও গৃহগননার কর্মীরা এ বছর ১৫-২১ জুন পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ি গিয়ে তথ্যানুসন্ধান করে তালিকাভুক্ত করেছেন। তালিকা থেকে যাতে কেউ বাদ না পড়েন, সেজন্য আরও দুইদিন বাড়তি সময় নিয়ে মাইকিং ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে ইমাম ও পুরোহিতদের মাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করা হয়েছে। মোট ৯ দিন এ জনশুমারির কাজ পরিচালনা করা হয়।








































