ফরিদপুরে বেশ কয়েক দিন ধরে কাঁচা মরিচের বাজার চড়া। সকালে দাম বাড়ে তো বিকেলে কমে। কয়েক দিন পর ৩০০ টাকা কেজি দরে মরিচ খেতে হবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা কেজিতে। আর সাধারণ ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোকজন মরিচ কিনতে এলে বিক্রেতাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়।
বিক্রেতারা বলেছেন, দেশের উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে সবুজ রঙের মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সবুজ মরিচের প্রচণ্ড চাহিদা থাকার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। অবস্থা এভাবে চললে আগামী কয়েক দিন পর ৩০০ টাকা দরে কেজি দরে কিনে মরিচ খেতে হবে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য হচ্ছে, মরিচ যেসব এলাকায় উৎপন্ন হয় সেখানে হঠাৎ করে পানি ওঠার কারণে গাছ মরে যাচ্ছে। অন্যদিকে ফরিদপুরের কেষ্টপুর, সদরপুর ও মধুখালী এলাকায় এখনো ঠিকমতো মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে সমস্যা হচ্ছে। এভাবে দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
জেলা শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রহিম খান বলেন, “প্রতিদিন বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন কাঁচা মরিচের বাজারে আগুন লেগেছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি এমনটা হলে আমরা গরিব মানুষ কীভাবে চলব?”
হোটেল মালিক মিলন শেখ জানান, প্রতিদিন হোটেলে বিভিন্ন রান্না করতে কাঁচা মরিচের প্রয়োজন হয়। তবে যেভাবে কাঁচা মরিচ এবং শুকনা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে হোটেল ব্যবসা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। যেখানে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কেজি কাঁচা মরিচ ক্রয় করতাম এখন অল্প করে কিনতে হচ্ছে।





































