পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমসহ দুই কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিএনপির ডাকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করছে। সকাল থেকে যানবাহন অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকাংশেই কম রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান।
বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল থেকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যু হয়। এ খবরে ভোলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা তাৎক্ষণিক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে হরতালের ডাক দেন।
এদিকে ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে বিএনপির দুই নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ সকালে ঢাকা থেকে ভোলা এসে পৌঁছেছে। তারা নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩১ জুলাই ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ এবং বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন, যার মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম নিহত হন। একই দিন আহত হয়ে ঢাকা কমপ্যাথ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে।





































