“কাঁচা মরিচসহ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়তেছে মানুষ খ্যায়া বাঁচবে ক্যামনে। দাম এক থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সালাদ তৈরির উপাদান শসা ও টমেটোর দামও বেড়েছে কিছুটা। তবে অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে দামে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি।”
সোমবার (৮ আগস্ট) বিকালে বাজারে গিয়ে দেখা হয় বরগুনা পৌর কাঁচাবাজারের ক্রেতা আল-আমিন হুসাইনের সঙ্গে। তখন তিনি এইভাবেই কথাগুলো বলেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।
বরগুনায় নিত্যপণ্যের দামে লাগাম নেই। ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বাজার। কয়েকদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে।
সরবরাহে ঘাটতি, অন্যদিকে চাহিদা বেশি থাকার কারণে দাম বেড়েছে, তবে বাড়তি এই দাম বেশি দিন থাকবে না বলে আশা করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি মরিচ ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। মরিচের প্রকারভেদে কোনো কোনো খুচরা বাজারে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আর বর্তমানে বরগুনায় যে মরিচগুলো পাওয়া যাচ্ছে এগুলো জেলার তালতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে।
জানা যায়, কাঁচা মরিচ ছাড়াও প্রায় সব ধরনের সবজির কেজি অন্তত ৫-১০ টাকা বেড়েছে। কাকরোল ৫০, করলা ৭০-৭৫, বরবটি ৬০, কাঁচকলা ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, গাজর ১৪০, লাউ প্রতিটি ৫০-৬০, পটোল ৬০, আলু ২৮-৩০, লাউ ৫০-৭০ ও লাউ শাক আঁটি প্রতি ২০ টাকা।





































