বরগুনার পাথরঘাটায় ট্রলার নোঙর করা নিয়ে দুই ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় ট্রলারের আটজন মাঝিমাল্লা আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল পাঠানো হয়েছে। রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- এফবি মা ফাতেমা ট্রলারের মোহাম্মদ সুলতান, মোহাম্মদ ফারুক ও আলতাফ। এদের সবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার চরকগাছিয়া এলাকায়।
অপরদিকে এফবি আল মদিনা ট্রলারের আহতরা হলেন- ইমরান মাঝি, মোহাম্মদ শাহিন, আবু জাফর, মোহাম্মদ বাবুল ও মোহাম্মদ মোশারফ। এদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর বিশ্বআন্ডার চর এলাকায়।
এদের মধ্যে এফবি মা ফাতেমা ট্রলারের মোহাম্মদ সুলতান ও মোহাম্মদ ফারুককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে মৎস্য ঘাটে এফবি আল-মদিনা ট্রলার নোঙর করে রাখে। পরবর্তীতে এফবি মা ফাতিমা ট্রলারটি ঘাটে এসে আল-মদিনার মাঝিমাল্লাদের জায়গা দিতে বলে। কিন্তু জায়গা করে দিতে দেরি হওয়ায় আল-মদিনার বেঁধে রাখা রশি কেটে দেয় ফাতিমার মাঝিমাল্লারা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতাণ্ডা শুরু হয়ে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নৌযান পরিচালনা করার জন্য ঘাট কর্তৃপক্ষের কোনো জনবল নেই। তাই প্রায়ই নোঙর করা নিয়ে মাঝিমাল্লাদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।
এবিষয়ে আল-মদিনা ট্রলারের মালিক এনামুল হোসাইন জানান, যেহেতু মাঝিমাল্লারা ট্রলার নোঙর করা নিয়ে ঝামেলা করেছে, সেহেতু মালিক সমিতির মাধ্যমে মাঝি সমিতির কাছে বিচার দেওয়া হবে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, উভয় পক্ষের আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের কারো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





































