১৩ শিশু শিক্ষার্থী এবং ৬ শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত

ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারের ১৩ শিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষকের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মমতাজ ফেরদৌস লিনা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শনিবার থেকেই পাঠদান বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।

মমতাজ ফেরদৌস লিনা বলেন, শিশু পরিবারের ১৩ শিক্ষার্থী ও উপজেলার ছয় শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

শিশু পরিবার বালিকার উপ-তত্ত্বাবধায়ক রিক্তা বানু বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) শহরের হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিশু পরিবারের এক ছাত্রী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়। এরপর মাধ্যমিকের আর চার শিক্ষার্থী ও প্রাথমিকের আটক শিক্ষার্থী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়।

রিক্তা বানু আরও বলেন, বুধবার পর্যন্ত শিশু পরিবারের ২৫ ছাত্রীর নমুনা পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকে পড়ুয়া আটজনসহ ১৩ ছাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের পৃথক স্থানে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তারা ভালো আছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহাবুব আলম জানান, শিশু পরিবারের ১৩ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এছাড়া আক্রান্ত শিক্ষকদের আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক রিক্তা বানু বলেন, ছয় থেকে ৯ বছরের যেসব কন্যাশিশুর বাবা নেই এমন পরিবারে ৬৫ জন এতিম শিশুকে সরকারি খরচে লালন পালন করা হচ্ছে। সরকারি পরিবারের এসব শিশু আশপাশের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করে। শিশুদের বয়স ১৮ বছর হলেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আক্রান্তরা সবাই শিশু পরিবারে আইসোলেশনে আছে জানিয়ে রিক্তা বলেন, কারও কোনো জটিলতা নেই। প্রতি ঘণ্টায় তাদের জ্বর মেপে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিবারের সুস্থ শিশুদের সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা হয়েছে। তারা যাতে কোনোভাবে আতঙ্কিত না হয়, সে বিষয়ে তদারকি করছেন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সমাজসেবা বিভাগ থেকে বিষয়টি জেনেছি। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুদের আইসোলেশনে রাখতে এবং বিদ্যালয়ে না পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। বাচ্চাদের দেখাশোনায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।