• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

সিনহা হত্যা: দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১, ১১:৪৭ এএম
সিনহা হত্যা: দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে

কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলার ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সাক্ষ্য দেবেন।

মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে দিয়েই সোমবার (২৩ আগস্ট) প্রথম দিনের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তার জবানবন্দির পর ১৫ আসামির মধ্যে ১২ আসামির আইনজীবীরা শারমিনকে জেরা করে।

দ্বিতীয় দিনে নন্দ দুলাল রক্ষিতের আইনজীবী চন্দন দাশ সাক্ষীকে জেরা শুরুর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সাক্ষ্য গ্রহণ।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, মামলায় মোট সাক্ষী ৮৩ জন। সেখান থেকে তিন দিনে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। বাকিদের ধাপে ধাপে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। প্রথম সাক্ষীকে দ্বিতীয় দিনও জেরা করবেন তিন আইনজীবী। এটি শেষ হলে দ্বিতীয় সাক্ষী শাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

পিপি ফরিদুল আলম আরও জানান, গত ২৬ জুলাই থেকে পরবর্তী তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলায় তা সম্ভব হয়নি। পরে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ আটক করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে এই দুজন জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায় ও একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

অপর আসামিরা হলেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

Link copied!