নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মা মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে গেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেওভোগে আইভীর বাসভবন চুনকা কুটিরে যান শামীম ওসমান। এ সময় তিনি মেয়র আইভীকে সান্ত্বনা দেন এবং মরহুমা মমতাজ বেগমের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় শামীম ওসমান বলেন, “সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। আমি চাচীর (মমতাজ বেগম) জন্য দোয় করি। মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে না। আমাদের উচিত সবাই সবার জন্য দোয়া করা।“
শামীম ওসমান বলেন, “আমি ৯৬ সনে যখন এমপি হই। তখন এই চুনকা সড়ক করে দেই। ওই সময় আমি আসলে চাচী (মমতাজ বেগম) আমাকে নিজ হাতে খাওয়াতেন।”
চুনকা কুটিরে আসার আগে মমতাজ বেগমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ শামীম ওসমান। মমতাজ বেগমের মৃত্যুর তৃতীয় দিন মঙ্গলবার বিকেলে মাসদাইর কবরস্থানে যান শামীম ওসমান।
মাসদাইর কবরস্থানে সাংবাদিকদের শামীম ওসমান বলেন, “পৌর পিতা চুনকা’র সহধর্মীনি আমার মায়ের মতোই। একজন মা যেভাবে স্নেহ করে, ভালোবাসা দেয়, সেই ভাবেই ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার জানামতে, উনি আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন। একজন সন্তান হিসেবে, আমি আমার মায়ের জন্য যেভাবে দোয়া করি, একই ভাবে উনার জন্যও দোয়া করেছি।”
এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, “যে বয়সেই হক না কেন, এতিম হওয়া যে কত কষ্টের। সেটা আমি জানি। কারণ আমি নিজেও একজন এতিম। তাই আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাদেরকে কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দেন।”
এ সময় শামীম ওসমানের সাথে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু প্রমুখ।