• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

বৃদ্ধকে ঘুষি মেরে সমালোচনার মুখে কাদের মির্জা


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১, ০২:৩০ পিএম
বৃদ্ধকে ঘুষি মেরে সমালোচনার মুখে কাদের মির্জা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে ত্রাণ বিতরণ করেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ওই সময় তিনি এক বৃদ্ধকে ঘুষি মারেন। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন কাদের মির্জা।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে পৌর ভবনের সামনে গরিব-অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। 

২০ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভ ভিডিওটিতে দেখা যায়, কাদের মির্জা এক বৃদ্ধের হাতে শাড়ি দিয়েছেন। হাতে নেওয়ার পর ওই বৃদ্ধ শাড়িটি পরিবর্তন করে অন্যটি নিতে চাইলে কাদের মির্জা তার বুকে ঘুষি মেরে সরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর ওই বৃদ্ধকে উদ্দেশ্য করে শাড়ি ছুড়ে মারেন কাদের মির্জা। আরেক ব্যক্তিকেও প্যাকেট দিয়ে আঘাত করেন কাদের মির্জা।

ঘটনাটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার জবাবে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন কাদের মির্জা।

স্ট্যাসাসে কাদের মির্জা লিখেন, "প্রিয় দেশবাসী, আপনারা জানেন মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে জনজীবন অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি আমার পৌরসভা থেকে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষদের জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছি। এর আগেও আমি সর্বদা চেষ্টা করতাম, অসহায় গরিব দুঃখি মানুষের পাশে থাকতে। আমার পৌরসভা ও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ হতে, আমি শুধু কোম্পানীগঞ্জ নয়, কবিরহাট, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, সেনবাগসহ বিভিন্ন জনপদের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে আসছি। কখনো কোনো মানুষ সাহায্য প্রত্যাশা করে আমার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরে যায়নি।

আজও আমার পৌরসভাতে বিভিন্ন জনপদের অসহায় মানুষদের এক হাজারের বেশি শাড়ি-লুঙ্গি, পাঁচশত জনের বেশি নগদ অর্থ ও প্রায় দুই হাজার জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। পৌরসভার ছোট্ট আঙিনায় সহস্রাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে যাওয়ায় দ্রুততার সহিত কাপড় বিতরণ করতে হয়েছিল।

তাই যাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে তাদের দ্রুত চলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছিল। তখন একটি মানুষ কাপড় পাওয়ার পরও দাঁড়িয়ে থাকায় এবং একাধিকবার বলার পরও সে মাস্ক না লাগানোর কারণে তাকে দ্রুত সরে যাওয়ার জন্য হাত দিয়ে তাকে সরানো হচ্ছিল। এখানে তাকে আঘাত করা হয়নি। এ বিষয়ে তিনি কোনো আক্ষেপও করেনি।

সহস্রাধিক মানুষের মাঝে একযোগে এতগুলো ত্রাণ বিতরণ করার সময় অজান্তে কিছু অসাবধানতা হতে পারে, এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত কোনো কিছু করা হয়নি। আমি সব সময় অসহায় গরিব মানুষের পাশে আছি। কখনো কেউ আমার কাছে সাহায্যের জন্য এসে খালি হাতে ফিরে যায়নি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি যতদিন বেঁচে থাকবো অসহায় গরিব মানুষের সেবা করে যাবো।

সকলের কাছে প্রত্যাশা রাখবো, অন্যের সমালোচনা না করে, যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় গরিব মানুষদের সহযোগিতার হাত বাড়ান। একজনের সমালোচনা না করে একটি মানুষকে সহযোগিতা করুন।"

Link copied!