ফেনীর ছাগলনাইয়ায় পৌরসভা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোস্তফার নৌকার এজেন্টসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটাররা জানান, সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বুথের ভেতরে ভোটারদের জোর করে বাটন টিপে ভোট দেওয়ার অভিযোগে শাহাদাত হোসেন শিপনকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া অন্য দুই কেন্দ্র থেকে আটক আরও দুইজনের নাম পুলিশ জানাতে পারেনি।
ছাগলনাইয়া পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আল মমিন জানান, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রদানে প্রভাব বিস্তার করার সময় শাহাদাত হোসেন শিপন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকের হায়দার সুমনের অভিযোগ, “আমার প্রতীক ‘কম্পিউটার’ বাটন টিপতে গেলে বুথে থাকা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টরা জোর করে নৌকার বাটন চাপ দিতে বলছেন। অনেক কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতেই দেয়নি। এ মূহুর্তে আমার এজেন্টবিহীন ভোট চলছে।”
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেয়র মোস্তফা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার কোনো এজেন্ট কিছুই নেই।”
জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী বলেন, “আটককৃতরা জোরপূর্বক ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিল। ইভিএমে জালিয়াতির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।”
ইভিএমে প্রথমবারের মতো ভোট গ্রহণ
ছাগলনাইয়া পৌরসভায় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মেয়র পদে দুইজন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১১ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৪১ জনসহ মোট ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৩৫ হাজার ৬৫৯ জন ভোটার এবার প্রথম ইভিএমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচন অফিস জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি রয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ, বিজিব, র্যাব ও আনসার সদস্য। রয়েছে স্টাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রের নেতৃত্বে আলাদা ভ্রাম্যমাণ আদালত।