সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নে আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমিন সরকারের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মারধর করে আহত হরা হয়েছে তার কর্মীদের।
এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরের উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল (৩৫) ও সাকিলকে (২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া রনি (২৩), মিলন (২২) মোছাঃ লতা খাতুনসহ (৪৫) ৬ জনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন জানান, আজ (রোববার) দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে ভোট প্রার্থনার জন্য বিভিন্ন এলাকায় কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে ৩০-৪০টি মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকার সমর্থকরা অতর্কিতভাবে ক্যাম্পে হামলা চালায়। তারা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও সমর্থকদের মারপিট করে। এ সময় তারা নির্বাচনী ক্যাম্পের ২০-২৫টি চেয়ার ভাঙচুর ও প্রার্থী আল-আমিন সরকারের কর্মীদের মারপিট করা হয়। এতে নারী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আল আমিন সরকার বলেন, “আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এবারও আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার পক্ষে এলাকায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মোটরসাইকেলের বিজয় নিশ্চিত জেনে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকেরা আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। তারা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আজ দুপুরে তারা পুকুরপাড় এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে এই হামলা চালিয়ে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে ৮-১০ জন কর্মীকে মারপিট করা হয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি।”
এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম রাশেদুল হাসান বলেন, “এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বিদ্রোহী প্রার্থী আল-আমিন সরকার নিজের সমর্থককে ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।”
উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহেদ গনি বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী আল-আমিন সরকারের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত দু’জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ কেউ করেনি।”
তবে অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।