• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

চোখ হারানো ৩ আ. লীগ নেতার পরিবার উদ্বিগ্ন


বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১, ০৬:৪৯ পিএম
চোখ হারানো ৩ আ. লীগ নেতার পরিবার উদ্বিগ্ন

দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে প্রয়োজনে দেশের বাইরে পাঠিয়ে হলেও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন বরিশালে আনসার সদস্যদের গুলিতে চোখ হারানো ইউপি সদস্যসহ তিন আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ১৮ আগস্ট রাতের ঘটনায় প্রথম অবস্থায় আনসার সদস্যদের গুলিতে কমপক্ষে ৬০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসানের চোখে গুলি লাগে। পরবর্তী সময়ে মেয়রের ওপর গুলি করা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে কাশিপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান রায়হান ঘটনাস্থলে ছুটে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখ হারিয়েছেন।

আহত রায়হানের বরাত দিয়ে তার বাবা আমির হোসেন বলেন, ঘটনার দিন রায়হান খবর পায় সিটি করপোরেশনের মেয়রের ওপর গুলি করা হয়েছে। এ খবর শুনে তাৎক্ষণিক রায়হান সদর উপজেলা পরিষদের সামনে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে দাঁড়াতেই ইউএনওর বাসা থেকে গুলি করা হলে রায়হান গুলিবিদ্ধ হয়।

রায়হানের মা নুরজাহান বেগম বলেন, “দল করতে গিয়ে এভাবে একটা ছেলে অন্ধ হয়ে যাবে, তা তো হতে পারে না। আমার একটাই দাবি, আমার ছেলের যেন ভালো হয় সে ব্যবস্থা যেন করা হয়।”

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনিরুল ইসলাম মনিরের স্বজন জহিরুল ইসলাম জানান, ১৮ আগস্ট রাতে মনির খবর পান ইউএনও অফিসের সামনে মেয়রকে গুলি করা হয়েছে। খবর পেয়ে মনির সেখানে ছুটে যান। ইউএনও অফিসও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে গিয়ে দাঁড়াতেই ইউএনওর বাসা থেকে গুলি করা হয়। এতে মনিরের মুখমণ্ডলসহ শরীর মিলিয়ে ৪২টি গুলি লাগে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গুলিতে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

প্রয়াত বীরপ্রতীক রফিকুল আহসান বাদশার স্ত্রী মোহসিনা পারভীন বলেন, আমার ছেলে তানভীরের চোখে পাঁচটি গুলি লেগেছে। চিকিৎসকরা বলেছেন তানভীর আর কোনোদিন চোখে দেখতে পারবে না। আমার সন্তান যাদের গুলিতে চোখ হারিয়েছে তাদের বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, অকারণে গুলিবর্ষণকারীদের বিচার আপনি করুন। আপনি আমার সন্তানের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ঢাকায় যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের ব্যাপারে আমরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।

গত ১৮ আগস্ট রাতে সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণ করতে যায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। এতে বাধা দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান। এ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসায় প্রবেশ করেন। তাদের প্রতিহত করতে ইউএনওর দেহরক্ষী আনসার সদস্যরা নির্বিচারে গুলি করে।

Link copied!