বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমানের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আগামীকাল রবিবার সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে দুজনই ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, “তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার তালিকাভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল কমিশনের সামনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটির ভিত্তিতেই তাদের অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।”
ইসি সচিব জানান, শনিবার তারা দুজনই ভোটার নিবন্ধন ফরম জমা দেন এবং নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেন। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ১৫ ধারায় নির্বাচন কমিশন প্রাপ্তবয়স্ক ও যোগ্য নাগরিকদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা রাখে।
আখতার আহমেদ আরও বলেন, তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ঢাকা–১৭ সংসদীয় আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। তারা ‘ফর্ম–২’ পূরণ করার পাশাপাশি ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ, স্বাক্ষর ও আইরিশসহ বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়েছেন।
তারেক রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর পাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নিবন্ধনের তথ্য সিস্টেমে আপলোড করার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট, সিগনেচার, ফেস ও আইরিশ যাচাই করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। যাচাই শেষ হলে এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হবে।”
ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত কবে হবে—এ বিষয়ে তিনি বলেন, “নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া হলেও বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই এটি কমিশনের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, কমিশন চাইলে আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে অথবা নথিপত্রের ভিত্তিতেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোন পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণ কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত।






























