সমুদ্রের টানে পর্যটকরা ছুটে যায় কক্সবাজারে। সমুদ্রে পা ভেজানো, ভেজা বালুতে হেঁটে বেড়ানো, দিনে বা রাতে সৈকতের কাছে চেয়ার পেতে সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখা, সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খাওয়া—প্রতিটি মুহূর্তই যেন বিশেষ হয়ে ওঠে। পর্যটকদের কাছে আরও বিশেষ করে তুলতে এবার কক্সবাজারে চালু হলো উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট।
দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হলো উড়ন্ত রেস্টুরেন্টের। যা রয়েছে কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। উড়ন্ত অবস্থায় এই রেস্টুরেন্টে বসে নানান স্বাদের খাবার খেতে পারবেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে উপভোগ করবেন সমুদ্রের সৌন্দর্য।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বের) সন্ধ্যায় সৈকতপাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে এ রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, পর্যটকদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অত্যাধুনিক মেশিনের ক্রেনের সাহায্যে সৈকতের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬০ ফুট উঁচুতে থাকছে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। মেঘের রাজ্যে বসে পর্যটকদের আপ্যায়ন করা হবে। রোমাঞ্চকর পরিবেশে পর্যটকরা বেশ উপভোগ করবেন জায়গাটি।
দেশের প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতির এই ‘ফ্লাই ভাইনিং’ নির্মাণ করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠন ‘ইউর ট্রাভেলস লিমিটেড’। এরই মধ্যে উড়ন্ত রেস্টুরেন্টের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও চিত্র দেখে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন পর্যটকরাও। আধুনিক জগতের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন পাল্টে দেবে কক্সবাজারের পর্যটনের আবহ।
উড়ন্ত রেস্টুরেন্টে যা থাকছে
কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল সি প্রিন্সেসের পাশের প্লটে দৃষ্টিনন্দনভাবে বসার পর্যাপ্ত স্থান রেখে চালু করা হয়েছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্তোরাঁ ও কিচেন। এর পশ্চিম পাশের খালি স্থানে বসানো আছে একটি ক্রেন। একটি বিশেষ পাঠাতনে ২০ জন ধারণক্ষমতার চেয়ার, টেবিল ও ওপরে ছাতার মতো একধরনের ছাদ দিয়ে চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে।
অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ তার ক্রেনের মাথায় লাগিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে সেই পাটাতনে মাঝখান ও চারপাশে। মাটিতে থাকা কিচেনে পছন্দমতো খাবার অর্ডার করা যাবে, যা ‘উড়ন্ত পাঠাতনে’ পরিবেশন করা হবে।
পাটাতনের চেয়ারে বিমানের মতোই লাগানো সিট বেল্টে পর্যটকদের আটকানো হবে। পরে আকাশে যাত্রার শুরু। ওপর থেকে পুরো সৈকতের ঢেউ এবং কক্সবাজারের পাহাড়, আশপাশ এবং ভবনগুলো দেখা যাবে।
আয়োজকরা জানান, ২০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্টুরেন্টটি মাটি থেকে সৈকতের আকাশে ১৬০ ফুট ওপরে তুলে চতুর্দিক ঘুরতে ঘুরতে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করবে। এ সময় আকাশ থেকে উপভোগ করা যাবে সৈকত ও আশপাশের দৃশ্যও।
উড়ন্ত রেস্টুরেন্টের খরচ কেমন
এই রেস্টুরেন্টে জনপ্রতি খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা (খাবারসহ)। পাটাতনে ওঠা, আকাশে উড্ডয়ন এবং অবস্থান ও নেমে আসার সময়সহ প্যাকেজ করা হয়েছে। প্যাকেজের পরিধি এক থেকে দেড় ঘণ্টা। খাওয়ার ব্যবস্থাপনায় থাকছেন দেশের বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী টনি খান।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































