দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবন দখল করে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে কোনো রকম পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া পদত্যাগও করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।
শ্রীলঙ্কার এমন সংকটময় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। আর তাতেই আসন্ন এশিয়া কাপের এবারের আসর আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। কারণ, এই পরিস্থিতিতে এশিয়ান ক্রিকেটের হাই-প্রোফাইল এই টুর্নামেন্ট আয়োজন বেশ কঠিন হবে লঙ্কানদের জন্য।
আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এশিয়া কাপের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে এশিয়া কাপ ২০২২ আয়োজন করা শ্রীলঙ্কায় সম্ভব নয়। বিশেষ করে বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা বড় একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ আয়োজনের সম্ভাব্য তালিকায় বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখছেন অনেকে। কারণ, ভারত এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে তেমন আগ্রহী নয়। আর পাকিস্তানে খেলা হলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সেখানে যাবে না বলাই যায়। তাই আয়োজক হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক জাগরণ-এর সঙ্গে আলাপে লঙ্কান বোর্ডের প্রভাবশালী একটি সূত্র জানিয়েছে, খেলোয়াড়রা এমন পরিবেশে ক্রিকেট খেলতে হয়তো নিরাপদ বোধ করবেন না। এখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে এশিয়া কাপ ২০২২-এর আয়োজন করা শ্রীলঙ্কায় সম্ভব নয়। পরিবর্তে বাংলাদেশ এই আসরের আয়োজক হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে।
এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা তিন আসর এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল আয়োজক ছিল লাল-সবুজের দেশটি। তাই বাংলাদেশ এই তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর ও হংকং বাছাইপর্ব পার করে একটি দল টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলবে।