উদ্ভোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ৯৫ রানের জুটির পর মিডল অর্ডারে সাকিব-ইয়াসিরের শতরানের জুটিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ইনিংসে সাকিবের ৭৭ রানের সঙ্গে লিটন ও ইয়াসির দুজনে করেন ব্যক্তিগত ৫০ রান।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। উদ্ভোধনী জুটিতে বাংলাদেশ দলকে দারুণ সুচনা এনে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু দলীয় ৯৫ রানে ভাঙ্গে তামিম-লিটন জুটি।
২২তম ওভারে আন্দেলো ফেহলুখায়োর খাটো লেন্থের বল আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বলের নাগালই পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায়ের আগে ৬৭ বলে ৪১ রান করেন টাইগার অধিনায়ক।
এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব। লিটন দাস দারুণ ব্যাটিং করে তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু ঠিক তার পরের বলেই স্পিনার কেশব মজারাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এই ব্যাটারও। লিটনের পর মুশফিকও দ্রুত বিদায় নিলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিব অ ইয়াসির আলীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়া বোলারদের নাকানি চুবানি খাইয়ে ছাড়েন তারা।
চতুর্থ উইকেটে ৮২ বলে ১১৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশ এর আগে ওয়ানডেতে এত বড় জুটি তো গড়তে পারেইনি, দেখেনি এমন ঝড়ো ব্যাটিংও। সাকিব আর রাব্বির ঝড়ো জুটিতেই মূলত চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে ৩ উইকেটে ২৩৯ রানে পৌঁছ যাওয়া টাইগাররা তিন বলের ব্যবধানে দুই মারকুটে ব্যাটারকেই হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে।
লুঙ্গি এনগিদির করা ইনিংসের ৪২তম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫০তম ফিফটির মাইলফলক ছোঁয়া সাকিব। ৬৪ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৭৭ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে কাগিসো রাবাদার গতিতে বিভ্রান্ত হয়ে ফিরতি ক্যাচ হন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পাওয়া রাব্বিও (৪৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫০)।
এরপর আফিফ হোসেন শুরুটা ভালো করলেও ১৩ বলে ১৭ রানের বেশি যেতে পারেননি। ১৭ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২৫ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহও। শেষদিকে মেহেদি হাসান মিরাজের ১২ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করেছে বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে মার্কো জানসেন আর কেশভ মহারাজ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।