• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

আম্পায়ারদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন জিম্বাবুয়ের কোচ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ০২:৫৬ পিএম
আম্পায়ারদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন জিম্বাবুয়ের কোচ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সোমবার (২৪ অক্টোবর) হোবার্টে গড়ানো এই ম্যাচের একাধিকবার বৃষ্টিবাধায় কোনো ফল আসেনি। জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে।

তবে ম্যাচের রেজাল্ট এড়িয়ে ওই প্রতিকুল অবস্থায় খেলা মাঠে গড়ানো নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। জিম্বাবুয়ে কোচ ডেভ হটন তো আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।

ম্যাচে টস ও জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার পরই বৃষ্টি নামে। দীর্ঘ সময় পর বৃষ্টি কমলে মাঠে গড়ায় ম্যাচ। তবে সেটির দৈর্ঘ্য কমে আসে ৯ ওভারে।

প্রথমে ব্যাটিং করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৯ ওভারে ৭৯ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। তবে এরপর প্রোটিয়ারা রান তাড়া করতে নামার সময় আবারও বাগড়া দেয় বেরসিক বৃষ্টি।

বৃষ্টি থামলে আফ্রিকার নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৬৪ রান। এদিকে ভেজা মাঠে বেশ কয়েকবারই বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে মাঠের আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেন জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা। তবে সেসব কানে তোলেননি আম্পায়াররা।

এমনকি বোলিং করার সময়ে পিছলে পড়ে ইনজুরড হয়ে মাঠ ছাড়েন জিম্বাবুয়ের পেসার এনগ্রাভা। কিন্তু তাতেও খেলা থামাননি আম্পায়াররা। ব্যাটিংয়ে আফ্রিকা তিন ওভারে ৫১ রান তোলার পর আবার বৃষ্টি নামে। এরপর খেলা ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

জয়-পরাজয় এড়িয়ে জিম্বাবুয়ে কোচ ম্যাচ শেষে ক্ষোভ ঝেড়েছেন জিম্বাবুয়ে কোচ ডেভ হটন।  তার মতে মাঠ কোনভাবেই খেলার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছুই করা নেই বলেও জানান তিনি।

হটন বলেন , “আমার মনে হয়, বৃষ্টি এত প্রবল ছিল যে তখন খেলা ছিল অসম্ভব। তখন আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ছিল না; তখন সময় ছিল মাঠ ছাড়ার। মাঠে আম্পায়াররা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, আর তারা ভেবেছেন খেলা চালিয়ে যাওয়া যায়। আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকে আমার তেমন কিছু করার নেই।”

শুধু জিম্বাবুয়ে নয়, প্রোটিয়াদের জন্যও কঠিন পরিস্থিতি ছিল বলে মনে করেন হটন। তবে জিম্বাবুয়ে বোলিং করার সময় পরিস্থিতি বেশি কঠিন ছিল বলে দাবি তার

“দুই দলের জন্যই কঠিন পরিস্থিতি ছিল, কিন্তু আমরা বোলিংয়ে আসতে আসতে মাঠ আরও বেশি ভিজে যায়। স্পিনের বিপক্ষে যখন কিপার লেগ সাইডে নড়তে গেলে পিছলা খায়, বুঝতে হবে মাঠ খুবই ভেজা। আমার মনে হয় না, খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কন্ডিশন উপযুক্ত ছিল” যোগ করেন হটন।

শুধু হটন নন, পুরো জিম্বাবুয়ে দলই কালকের ম্যাচ নিয়ে চরম অসন্তষ্ট। এমনকি তাদের মনে হয়, অন্য কোনো বড় দল হলে এভাবে ম্যাচ খেলাতে পারতেন না আম্পায়াররা। 

Link copied!