বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগেই একটা খবর বের হয়ে যায় স্কোয়াডে থাকবেন না তামিম ইকবাল খান। অবশ্য যে গুঞ্জন রটেছিল পরে সেটিই সত্য হল। বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেল তামিম নেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় তাকে রাখা হয়নি দলে এমনটাই বলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। পরে এক ভিডিওতে বললেন তামিম অন্যকথা। বিসিবির নোংরামির শিকার হয়েছেন তিনি। এবার এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি তামিমের দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না বলেই উল্লেখ করেছেন।
মাশরাফি বলেন, “বোর্ডের পক্ষ থেকে কেউ একজন তামিমের সঙ্গে কথা বলেছে, যেখানে একপর্যায়ে সে (তামিম) উত্তেজিত হয়ে যায়। এরপর সে নিজে থেকে দলে থাকতে চায়নি। আমি মনে করি এটাও তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।”
ভিডিও বার্তায় মাশরাফি তামিমের অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয় নিয়ে বলেন, “আমরা দুটো ভিডিও দেখেছি, তামিমের পর সাকিব যে বর্তমানে অধিনায়ক; সে সাক্ষাৎকার দিয়েছে। সেখানেও সে কিছু কথা বলেছে। আমার কাছে কোনো ভাবেই মনে হয়নি তামিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়াটা উচিৎ হয়েছে। এখন তামিমের একটা ইস্যু ছিল তার ইনজুরি। ইনজুরিটা থাকলে কিছু করার নাই। কিন্তু বোর্ড তাকে নিয়ে একটা কমফোর্ট জোনে ছিল। সবার সাথে বোর্ড থেকে একটা ক্লিয়ার যোগাযোগ ছিল যে তামিমকে আমরা ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখছি। তবুও ইনজুরি এবং সবমিলিয়ে তার ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া উচিৎ হয়েছে কিনা তামিমই বলতে পারবে।”
এ সময় টাইগারদের সাবেক কাপ্তান বলেন, “তামিম ইনজুরির কারণে কনফিউজড হয়ে ক্যাপ্টেন্সিটা ছেড়েছিল। তবে তাকে আরেকটু অ্যানালাইসিস করে দেখা দরকার ছিল- সে আসলে ওয়ার্ল্ডকাপ পর্যন্ত গিয়ে কতটুকু ফিট থাকবে। কারণ ক্যাপ্টেন্সিটা যদি ছাড়তেই হতো, তাকে ৬মাস বা ১ বছর আগে ছাড়া দরকার ছিল। বিসিবি ধরেই নিয়েছিল তামিমই ক্যাপ্টেন্সি করবে, সেই সুযোগটা তাকে দিয়েছিল। আমি মনে করি তামিম সুযোগটা নিতে পারত। কিন্তু সে এরপর ‘আমি খেলতে চাই না’ বলে যে কথাটা বলেছিল, সেটি ঠিক নয়। কারণ রাগ-ক্ষোভের সময়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটা সঠিক হয় না।”