• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

স্টোকসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৯:৪১ এএম
স্টোকসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হার
ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল স্টোকসের ব্যাটে। কিউইরা আবারও দেখলো এই ইংলিশ ক্রিকেটারের ব্যাটিং তান্ডব। নিউজিল্যানন্ডের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে স্টোকস খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১২৪ বলে ১৮২ রান ইনিংস। এতেই সফরকারীদের হারিয়েছে ১৮১ রানে।

অবসর থেকে ফিরে এসে ওয়ানডে ফরম্যাটে গড়েছেন নতুন রেকর্ড। জস বাটলারের অনুরোধে অবসর ভেঙ্গে কিউই সিরিজে ইংলিশদের রঙিন জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন স্টোকস। প্রথম ম্যাচে ফিফটি পেয়ে জানান দিয়েছিলেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। মাঝের এক ম্যাচ বাদ দিয়ে পরের ম্যাচে যেন বুঝিয়ে দিলেন, এখনও সাদা বলের ক্রিকেটে রাজত্ব করার সময় আছে তার।

ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে স্টোকস-মালানের কল্যাণে ১০ উইকেটে ৩৬৮ রান জড়ো করে ইংলিশরা। জবাবে সফরকারীরা ১১ ওভার বাকি থাকতেই ১৮৭ রানে গুঁটিয়ে যায়।

বেন স্টোকস যখন মাঠে নামেন তখন ইংলিশরা ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুকছে। দলকে খাদের কিনারা থেকে ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে স্টোকস টেনে তুললেন। তারা দুই জনে জুটি গড়ে করলেন ১৬৫ বলে ১৯৯ রান।

এদিন স্টোকস খেললেন রেকর্ডগড়া ইনিংস। এই অলরাউন্ডার করেছেন ১২৪ বলে ১৮২ রান। ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৭৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। তিনি ইনিংসে সব মিলিয়ে ১৫টি চার ও ৯টি ছক্কা মারেন। ইংলিশ ক্রিকেটের ইতিহাসে ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও এটি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে স্টোকসের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি।

চারে নামা ভিভ রিচার্ডসের ১৮৯ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসটি অবশ্য ভাঙতে পারেননি স্টোকস। এই ইংলিশ ব্যাটার লিস্টারের ফুলটসে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন। স্টোকসকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ডেভিড মালানও পুড়েছেন এদিন আক্ষেপে। ৫২ বলে ফিফটি করার পর সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থেকে বোল্টের দারুণ এক বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এই ব্যাটার ৯৬ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ১২ চার এবং ১ ছয় দিয়ে।

ম্যালান বিদায়ের পর অধিনায়ক জস বাটলারের সঙ্গে স্টোকসের জুটি। এই জুটি থেকে আসে ৪৬ বলে ৭৮ রান। বাটলারের আউট হওয়ার পর লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে স্টোকস যোগ করেছেন আরও ৪৬ রান। স্টোকস ফিরেছেন দলীয় ৩৪৮ রানে। ইংলিশ টেস্ট অধিনায়কের বিদায়ের পরের ২০ রান যোগ করতেই শেষ ইংল্যান্ড। ৩৬৮ রানে থেমেছে ইংলিশরা। ৫ উইকেট নিয়ে কিউইদের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। 

স্বাগতিকদের দেওয়া পাহাড় সূমহ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে ব্লাক ক্যাপসরা। ম্যাচ জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো নিউজিল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এর আগে কোনো দলই এত রান তাড়া করে জেতেনি। আর কিউইরা এদিন ছিল আরও বেশি বিবর্ণ। এদিন কিউইদের টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটার ১৭ রানের উপরে ব্যক্তিগত ইনিংস নিয়ে যেতে পারেননি। এই ৫ ব্যাটারের মধ্যে ড্যারিল মিচেল করেন সর্বোচ্চ ১৭ রান। এই ম্যাচে গ্লেন ফিলিপসের ৭৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসটি ছিল সর্বোচ্চ। তা ছাড়া সবাই পুরোপুরি ব্যর্থ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। রাচিন রবিন্দ্রর ২৮ রান ছিল দ্বিতীয় সেরা ইনিংস এই ম্যাচে কিউেইদের। শেষ পর্যন্ত ব্লাক ক্যাপসরা ১১ ওভার আগেই থেমেছে ১৮৭ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস ওকস ও লিয়াম লিভিংস্টোন নেন ৩টি করে উইকেট। এই জয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। 

Link copied!