• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ১০:০৮ পিএম
অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট দলও তারা। কিন্তু তাদের বিশ্বকাপ শুরুটা হয়েছে হতশ্রী। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে বড় ব্যবধানে। প্রোটিয়াদের দেওয়া ৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অজিরা থামে ১৭৭ রানে। টেম্বা ভাবুমার দল জয় পায় ১৩৪ রানে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন কুইন্টন ডি কক।

লখনৌতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের শুরুটা হয় দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও ডি কক তোলেন ১১৮ বলে ১০৮ রান। যেখানে ডি ককের ৬৭ আর বাভুমার ৩৫ রান। বাকি রানগুলো অতিরিক্ত। এরপরই ভাঙে এই জুটি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ডেভিড ওর্য়ানারকে ক্যাচি দিয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। আউট হবার আগে ৫৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।

এরপর ফন ডার ডুসেনের সঙ্গে আরও একটি জুটি গড়েন ডি কক। তাদের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ২৬ রান করা ডুসেনের বিদায়ে। অ্যাডাম জাম্পা নেন তার উইকেট। তার বিদায়ের পরপরই বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক শতক তুলে নেন ডি কক। আর এই শতকের পর হার্শেল গিবসকে পেছনে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার হিসেবে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় দুইয়ে ওঠে এসেছে ডি কক। 

তবে, এইডেন মার্করামের সঙ্গে তার ব্যাটিং রসদ জমে ওঠের আগে বিদায় নেন ডি কক। শতক হাঁকানো এই ক্রিকেটারকে থামান ম্যাক্সওয়েল। ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৯ রানে তিনি বিদায় নিলে ভাঙে ৩৮ বলে ৩৯ রানের জুটি।

এরপর মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনের ৫০ রানের জুটি প্রোটিয়াদের রানের চাকা সচল রাখেন। মার্করাম তুলে নেন হাফসেঞ্চুরিও। তবে মার্খরাম ৫৬ রান করে বিদায় নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বলে। তার বিদায়ের পর অন্যরা বড় স্কোর সেভাবে না করতে পারলেও প্রোটিয়াদের স্কোর ৩০০ ছাড়াই নিচের দিকে ব্যাটসম্যানদের ক্যামিওতে। যেখানে ক্লাসেনের ২৯ ও মার্কো ইয়ানসের ২৬ রান। অজিদের হয়ে ১০ ওভারে ৩৪ রান করে ২ উইকেট নেন স্পিনার ম্যাক্সওয়েল। সমান উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্কও। রান দিয়েছেন ৫৩ রান।

৩১২ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটররা পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান তুলতেই তারা হারায় তিন উইকেট। ২৭ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে আউট হন ৭ রান করা মিচেল মার্শ। তার উইকেট তুলে নেন মার্কো জেনসেন। পরের ওভারেই ১৩ রান করা ডেভিড ওর্য়ানারকে ফেরান লুঙ্গি এনগিডি। পাওয়ার প্লের সর্বশেষ শিকার অজি ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। ১৯ রান করা স্মিথের উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা।

স্মিথ যখন বিদায় নেন তখন স্কোর বোর্ডে মাত্র ৫০ রান। এরপর আর ২০ রান যোগ করতেই বিদায় নেন আরও তিন ব্যাটার। যেখানে রাবাদার শিকার দুইটি আর একটি উইকেট পান কেশভ মাহারাজ। রাবাদার শিকার জশ ইংলিশ ও মার্কোস স্টয়নিস। দুজনই করেন ৫ রান। আর মাহারাজ তুলে নেন ৩ রান করা ম্যাক্সওয়েলের উইকেট।

সপ্তম উইকেট জুটিতে এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মার্নাস লাবুশেনে ও মিচেল স্টার্ক। এই জুটি তোলেন ৬৯ রান। এরপর এই জুটি ভাঙেন জেনসেন। ফেরান ২৭ রান করা স্টার্ককে।

স্রোতের বিপরীতে ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যায় লাবুশেনে। তবে শেষ পর্যন্ত অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন তিনি। মাহারাজের বলে আউট হবার আগে করেন ৪৬ রান। তার যখন বিদায় হয়, দলীয় রান তখন ১৪৩। শেষ দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নেওয়ার আগে অজিদের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন আরও ৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত প্যাট কামিন্সের দল অলআউট হয়ে যায় ১৭৭ রানে। তখনো ম্যাচের বাকি ছিল ৫৫ বল।

Link copied!