• ঢাকা
  • শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২, ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ

১৫১ রানের পুঁজি নিয়ে শুরুতেই আলিক আথানজেকে ফেরায় বাংলাদেশ। শুরুতেই স্বাগতিক শিবিরে জেগে উঠা সে আশা ফিকে হয়েছে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। শুরুর ধাক্কা সামলে রস্টন চেজ ও আকিম অগান্তের ব্যাটে শেষ হাসি হেসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ টি–টোয়েন্টিতে লিটন দাসের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারী দল।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে আগেই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়ানোর জন্য শেষ ম্যাচে জিততেই হতো তাদের। কিন্তু শেষটাতেও সান্ত্বনা পেল না বাংলাদেশ। তাতেই চার বছর পর ঘরের মাঠে এই সংস্করণে ধবলধোলাই হলো তারা। এর আগে সবশেষ ২০২১ সালে পাকিস্তানের কাছে নিজেদের মাঠে এই লজ্জা পায় বাংলাদেশ।

চতুর্থ উইকেটে ৯১ রান তোলেন চেজ ও অগাস্তে। ২৯ বলে ৫০ রান করা চেজকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। একই ওভারে অগাস্তেকেও ফেরান এই লেগস্পিনার। এক ওভারে জোড়া ধাক্কার পরও ভীতি জাগেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে অতিথিরা।

তাদের হয়ে ২৩ বলে ৩৪ রান করেন আমির জাঙ্গু। দলীয় ৬ রানে আথানেজের বিদায়ের পর ব্রেন্ডন কিংকে নিয়ে বিপদ সামাল দেন এই ওপেনার। ৮ রান করা কিং ফিরে গেলেও আরও কিছুক্ষণ টিকে ছিলেন জাঙ্গু। দলীয় ৫২ রানে তাঁর বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর চেজ ও অগাস্তের ওই জুটি। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ ৪৩ রান। শেখ মেহেদি হাসান ও নাসুম আহমেদের শিকার একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জেতা বাংলাদেশের হয়ে তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান ছাড়া বাকিদের কেউই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। তাঁরা দুজনে মিলে করেন ১১২ রান। ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। এই ওপেনারের ৯ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো তাঁর ৬২ বলের ইনিংস। ২৩ রান করেন সাইফ। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার এদিন দশকের ঘরে পা রাখতে পারেননি। হ্যাটট্রিক করার পথে ৩৬ রান দেন শেফার্ড। দুটি করে উইকেট নেন হোল্ডার ও পিয়েরে।

Link copied!