বাঁচা মরার লড়াইয়ে পাকিস্তানের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪০১ রান তোলে কিউইরা। ব্ল্যাকক্যাপসদের এতো বড় স্কোর দাঁড়ায় মূলত রাচিন রাবীন্দ্রর সেঞ্চুরি ও কেন উইলিয়ামসনের হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এ সময় হাসান আলির বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন কিউই ওপেনার। এরপর বড় জুটি গড়েন রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন মিলে।
শুরুর দিকে দেখেশুনে খেলে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে চলে দুজনই। এরমধ্যে রবীন্দ্র তিন অংকের সংখ্যা স্পর্শও করে ফেলেন। রেকর্ডবুকে নিজের নামটাও তুলে দিয়েছেন রাচিন। বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন রবীন্দ্র। এছাড়া মেগা এই টুর্নামেন্টে তার করা তৃতীয় শতক নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যেও সর্বোচ্চ। এর আগে কিউইদের ৬ ব্যাটার বিশ্বকাপে দুটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এছাড়া সবচেয়ে কম বয়সে তিন সেঞ্চুরি পেয়েছেন রবীন্দ্র। আজ তার বয়স দাঁড়িয়েছে ২৩ বছর ৩৫১ দিনে। এর আগে সর্বনিম্ন ২২ বছর ৩১৩ দিন বয়সে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তবে সেঞ্চুরি মিস করেন উইলিয়ামসন। ৭৯ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। এ ইনিংসের মাধ্যমে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান (১ হাজার ৮৪) হলো তার। ১ হাজার ৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং।
সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১৫টি চার ও ১টি ছয় মারেন। তাকে আউট করেন ওয়াসিম জুনিয়র। এরপর মার্ক চাপম্যান ও ড্যারেল মিচেলরা নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন। দলীয় ৩১৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। চাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সেই ওয়াসিমের বলে।
২৫ বলে ৪১ রান ক্যামিও ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপসও। তার উইকেটও নেন ওয়াসিম। মিচেল স্যান্টনার ফিলিপসকে ভালো সঙ্গ দিয়ে করেন ২৬ রান। টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান।