ঘরের মাঠে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করা! আশির দশকের সর্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা একবিংশ শতকের অস্ট্রেলিয়াও সে কাজ করতে পারেনি। ভারতকে ভারতের মাটিতেই সিরিজের সব ম্যাচে হারানোর কাজটা শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাই করতে পেরেছিল। শচীন টেন্ডুলকারের ভারতকে দুই ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল হ্যান্সি ক্রনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু নিউজিল্যান্ড আজ (৩ নভেম্বর) ভারতকে ২৫ রানে যা করেছে, তা দক্ষিণ আফ্রিকাও করতে পারেনি। এক বা দুই ম্যাচের সিরিজে অনেক সময় হোয়াইটওয়াশ করাটা খুব সহজ। কিন্তু ম্যাচের সংখ্যা যত বাড়ে হোয়াইটওয়াশ করা তত কঠিন হয়। সেখানে কদিন আগেই শ্রীলঙ্কার মাঠে দুই ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ হওয়া নিউজিল্যান্ড ভারতকে তাদেরই মাঠে টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে দিল।
১৪৩ রানে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড গতকালের স্কোরের সঙ্গে আজ মাত্র ৩ রান যোগ করতে পেরেছিল। ফলে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১৪৭। কিন্তু গতকালই ধারণা করা হয়েছিল, মুম্বাইয়ের এই স্পিনবান্ধব উইকেটে এ রানই অনেক বড় হয়ে উঠবে। সেটাই হলো। ভারত মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে আজ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কারণে টেস্টে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট (ডিফেন্স) ভুলে গেছেন ব্যাটসম্যানরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর।
ভারতের মাটিতে এবারই প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড। প্রথম দুই টেস্টে ভুগেছে ভারতের তারকাখচিত ব্যাটিং। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা দলের প্রয়োজনে লড়াই করতে লড়তে পারেননি। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে ভারত ৪৬ রানেও অলআউট হয়েছে। গম্ভীর মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটে ক্রিজে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে যে রক্ষণাত্মক মানসিকতার প্রয়োজন, টি-টোয়েন্টির আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তাতে প্রভাব ফেলেছে।





































