জার্মানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা জাপান গ্রুপ পর্বে হারিয়েছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকেও। শেষ ষোলোতে বর্তমান রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার বাধা পেরোতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় শেষ খেলা গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়েও। সেখানেও আসেনি ফল। পেনাল্টি শ্যুট আউটে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ভাগ্য। সেখানে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ক্রোয়েশিয়া। ফলে শেষ ষোলোতেই থামলো জাপানের যাত্রা।
সোমবার (৫ নভেম্বর) আল জয়নব স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া ও জাপান। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ক্রোয়েশিয়ার সামনে। ইভান পেরিসিচ সেই সুযোগ মিস করেন। মূলত শট নেন গোলরক্ষকের আড়াআড়ি।
ম্যাচের ২৪ মিনিটেও পেয়েছিল সুযোগ। কিন্তু সেবারও মিস করে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধে আর কোনো সহজ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। উল্টো ম্যাচের ৪৩ মিনিটের মাথায় গোল করে জাপানকে এগিয়ে ডাইজেন মায়েদা। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় জাপান।
বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধে মরিয়া ছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে সহজ সুযোগ মিসের মহড়া যেন দ্বিতীয়ার্ধেও ধরে রেখেছিল ক্রোয়াটরা। ৫৫ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বল জালে পাঠিয়ে দেন ইভান পেরিসিচ। এতেই সমতায় ফেরে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
পরে বেশ কয়েকবারই দুই দল সুযোগ তৈর করতে পেরেছিল। কিন্তু কেউই আর এগিয়ে যেতে পারেনি। ফলে ম্যাচ এগিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে কোনো দলই নিজেদের ওইভাবে এগিয়ে নিতে পারেনি। দুই দলই বারবার আক্রমণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেনি। ফলে অতিরিক্ত সময়েও আসেনি গোল। ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের প্রথম দুই শট থেকে জাপান গোল করতে ব্যর্থ হলেও ভুল করেনি ক্রোয়েশিয়া। তৃতীয় শটে উল্টো ঘটনা ঘটে। জাপান গোল পেলেও পারেনি ক্রোয়াটরা। চতুর্থ শটে আবার জাপান মিস করে, ক্রোয়াটরা করেনি ভুল। ফলে ওই শটে গোল নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ক্রোয়াটদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতের উল্লাস।