• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আফগানিস্তানকে হেসে খেলে হারাল ভারত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩, ০৯:৩৩ পিএম
আফগানিস্তানকে হেসে খেলে হারাল ভারত
রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষান । ছবি : সংগৃহীত

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে পাত্তাই দিল না ভারত। হেসে-খেলেই রাশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের হারিয়েছে আয়োজক দেশটি। আফগানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে ৮ উইকেটে। আফগানিস্তানের দেওয়া ২৭৩ রানের টার্গেট ৯০ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেট হারিয়ে জয় পায় রোহিত শর্মার দল। এই ম্যাচে রোহিত খেলেন ১৩১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল ভারত। আর অন্যদিকে, দুই ম্যাচে দুটিতেই হার আফগানিস্তানের। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদী বলেছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের স্পিনারদের চেয়ে নেটে তারা আরও ভালো স্পিনারদের খেলে। তার এই কথা হয়তো তাতিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে বলা যায় দলটির অধিনায়ক রোহিতকে। আফগান বোলারদের ব্যাট হাতে কচুকাটা করেছেন তিনি।

২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হন রোহিত। অন্যপ্রান্তে অনেকটা অ্যাঙ্কার রোল পালন করে ঈশান কিষান। আফগান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ৩০ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। আর ৬৩ বলে করেন সেঞ্চুরি। যেটা ভারতয়িদের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দ্রুততম সেঞ্চুরি। শুধু তাই নয় গড়েন সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির রেকর্ড। ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় রোহিত এখন তিন নম্বরে। এছাড়া ওপেনারদের হয়ে দ্বিতয়ি সর্বোচ্চ শতক এখন ভারতীয় অধিনায়কের নামের পাশে।

ভারতের হয়ে ঈশানকে নিয়ে ওপেনিংয়ে  গড়েন ১১২ বলে ১৫৬ রানের জুটি। যা ওপেনিংয়ে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে পঞ্চম সর্বোচ্চ পার্টনারশীপ।  তবে এই জুটি ভাঙে ঈষানের বিদায়ে।৪৭ রানে ঈষানকে ফেরান রশিদ খান।  

এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে ৪৯ রানের আরও একটি জুটি গড়ে রোহিত। এই জুটিও ভাঙে রাশিদ। ১৩১ রান করা রোহিত আউট হন বোল্ড। তার ১৩১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৬ চার ও ৫ ছক্কায়।

বাকি পথটা পাড়ি দিতে খুব একটা কষ্ট হয়নি ভারতের। শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ৬৮ রানের এক জুটি গড়েন বিরাট। খেলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। আর শ্রেয়াস অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে। আফগানদের হয়ে দুইটি উইকেট নেন রাশিদ খান।

এরআগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের ব্যাটিং খারাপ হয়নি। ওপেনিং জুটিতে দলটি তোলেন ৬ ওভার ৪ বলে ৩২ রান। এই জুটি ভাঙে ২২ রানে ইব্রাহিম জাদরান ফিরলে। তার উইকেটটি তুলে নেন বুমরাহ।

এরপর ক্রিজে আসা রহমত শাহকে নিয়ে জুটি বড় গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার তার ইনিংসটি লম্বা করতে পারেননি। ১৩ তম ওভারের চতুর্থ বলে হার্দিক পান্ডিয়াকে পুল করেন গুরবাজ। ডিপ ফাইন লেগে দাড়িয়ে থাকা শার্দুল ঠাকুর প্রথমে ছয় বাঁচান, বাউন্ডারি লাইন ছাড়িয়ে যাওয়ার আগে বলটি তিনি উপরের দিকে ছুড়ে দেন। এরপর সেটি আবার ক্যাচ বানিয়ে নেন শার্দুল। ৩ চার ও ১ ছক্কায় গুরবাজ করেন ২১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে গুরবাজ-রহমতের জুটি ছিল ৩৭ বলে ৩১ রানের।

পরের ওভারেই এই শার্দুল ঠাকুর তুলে নেন রহমত শাহর উইকেট। ১৬ রান করা রহমত রিভিইউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। আউট হন এলবিডব্লিইউর ফাঁদে পড়ে।

মনে হচ্ছিল আরও একটি ছোট স্কোরে আটকে যাবে আফগানিস্তান। তবে সেটা হতে দেননি হাসমতউল্লাহ ও আজমতউল্লাহ। এই দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ১২১ রানের জুটি। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। এরপরিই আজমতউল্লাহর বিদায়। ৪ ছয় ও ২ চারে ৬২ রান করা আজমউল্লাহকে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। ভাঙে ভারতের বিপক্ষে তাদের গড়া প্রতিরোধ।

এরপর মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে ৪১ রানে জুটি গড়েন আফগান অধিনায়ক। এই জুটি ভাঙেন কুলদীব যাদব। ফেরান ৮০ রান করা হাসমতউল্লাহ শাহিদীকে।

আফগান অধিনায়ক যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখনও ম্যাচে ৪৪ বল বাকি ছিল। তবে শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে না পারায় স্কোরটা বড় করতে পারেনি। শেষ ৪৪ বলে তারা তোলেন ৪৭ রান। যেখানে নবীর ১৯, রশিদ খানের ১৬ ও মুজিব উর রহমানের ১০ রান ছিল।  আফগানদের স্কোর থামে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রানে।

Link copied!