• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

খালি হাতে দেশে না ফিরতে হওয়ায় খুশি নিগার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ১২:৪৯ পিএম
খালি হাতে দেশে না ফিরতে হওয়ায় খুশি নিগার
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ছবি: সংগৃহীত

চীনের হাংজুতে এশিয়ান গেমসের তৃতীয় দিনে এসে প্রথম পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এদিন নারী ক্রিকেট ইভেন্টে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে টাইগ্রেসরা। এরই মধ্যদিয়ে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ৮ বছর পর আবরও পদক জিতলো। ব্রোঞ্জ জেতার পর নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানালেন কিছু না জিতে দেশে ফেরার থেকে কিছু জিতে দেশে ফেরা অনেক ভালো।

হাংজুর জিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাচ শেষে দেখা গেল বাংলাদেশের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। ক্রিকেটাররা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরছেন। কোচিং-স্টাফরাও খানিকটা নির্ভার অন্তত একটা পদক মিলেছে। এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ জয়ে লক্ষ্য নিয়ে মিশন গেলেও শেষ পর্যন্ত ব্রোঞ্জে পদক নিয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের। তাতেও তৃপ্ত দলের অধিনায়ক জ্যোতি। টাইগ্রেস অধিনায়ক বলেন, “প্রতিটি দল টুর্নামেন্ট খেলতে আসে সর্বোচ্চ অর্জনের জন্য। আমাদেরও তাই লক্ষ্য ছিল। কিছু না পাওয়ার চেয়ে, কিছু নিয়ে যাওয়া অবশ্যই ভালো।”

২০১০ সাল থেকে এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটে অর্ন্তভূক্ত হয়। এরপর থেকে টানা দুই আসরেই নারী ক্রিকেট দল রৌপ্য জিতেছে। গত আসরে ক্রিকেট ইভেন্ট ছিল না এই টুর্নামেন্টে। ২০২৩ এশিয়ান গেমসে আবারও এই ইভেন্ট ফিরলেও বাংলাদেশ নারী দল রৌপ্য পদক ধরে রাখতে পারেনি। এ নিয়ে জ্যোতি বলেন, “রুপার পর স্বর্ণ পদক প্রত্যাশাটাই স্বাভাবিক। আমাদের ব্যাক অফ দ্য মাইন্ড কাজ করছে অন্তত খালি হতে ফিরে যাচ্ছি না।”

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ব্রোঞ্জ পদক লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের। টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়াটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন অধিনায়ক। জ্যোতি বলেন, “আমরা স্পিন নির্ভর। বোলাররা ভালো করেছে।”

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ব্যাটিং বিপর্যয়ের বিষয়টি অবশ্য আড়াল করে রাখলেন। অধিনায়ক বলেন, “আফসোস না, যেটা চলে গেছে গেছে এটা ভাবলে আরো মনোবল হারাতে হয়।”

ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আবার ভিন্ন রুপে দেখা গেল তাদের। টাইগ্রেস অধিনায়ক এই প্রত্যাবর্তনের সম্পূর্ণ ক্রেডিট দিলেন দলকে। জ্যোতি বলেন, “টোটাল ক্রেডিট দলের। যেভাবে কামব্যাক করেছে সত্যিই অসাধারণ।”

ব্রোঞ্জ লড়াইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক ২ রানে সাজঘরে ফিরেন। পাকিস্তান স্পিনার সান্ধুর স্পেলে তখন বাংলাদেশ খানিকটা চাপে ছিল। এরপরও দলের উপর আস্থা ছিল অধিনায়কের। জ্যোতি বলেন, “আমি আউট হলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা ম্যাচ জিতব। বরাবরই আস্থা রেখেছি দলের উপর এবং ম্যাচ বের করতে পেরেছে তারা।”

পাকিস্তানের বিপক্ষে তরুণী স্বর্ণা আকতারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের সুবিধা হয়েছে। অধিনায়ক এই উঠতি ক্রিকেটারের প্রশংসা করলেন বিশেষভাবে। জ্যোতি বলেন, “স্বর্ণা আজ (সোমবার) ভালো করেছে। অনুর্ধ্ব ১৯ পর্যায় থেকেই সে ভালো খেলে আসছে। আশা করি সামনেও ধারাবাহিকতা রাখবে।”

Link copied!